শীতল চক্রবর্তী,হরিরামপুর,২০ অগাস্ট,দক্ষিণ দিনাজপুর:-অনলাইনে বিটকয়েন কেনার নামে মোটা টাকার সুদের লোভ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে পুলিশ স্বামী ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।সোমবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হরিরামপুর থানার পুলিশ মালদা জেলার গাজোল থেকে ওই দুই অভিযুক্ত কবির মানস দাস,ও তার স্ত্রী রিংকি সরকার,(কবির দাসকে) গ্রেপ্তার করে।পুলিশ জানায় ধৃতদের বাড়ি হরিরামপুর থানার মুসকিপুর গ্রামে।মঙ্গলবার হরিরামপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তদন্তের স্বার্থে ১৪দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়।
হরিরামপুর থানা সূত্রের খবর,”গত ১আগস্ট উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত ছিটকেয়া এলাকার বাসিন্দা কবিতা দাস থানায় অভিযোগ করে বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে অভিযুক্তরা বিটকয়েন কিনার নামে চেন সিস্টেমের মাধ্যমে প্রথমে টাকা জমা রাখলে ছড়া সুদ দেওয়া হবে বলে লোভ দেখানো হয়।এইভাবে হরিরামপুর সহ আশপাশের তিন জেলা মিলে কয়েক লক্ষ টাকা জমা করেছিলেন বহু জেলার বাসিন্দারা বলে দাবি তাদের। অভিযোগ,প্রথমে কয়েক মাস নগদে মোটা টাকা সুদ দেওয়া হলেও ধীরে ধীরে বাসিন্দাদের টাকা ফেরত দিতে অনিহা প্রকাশ করে অভিযুক্ত কবির মদন দাস, তার স্ত্রী রিংকু সরকার(কবির দাস),ও তার ছেলে বলে অভিযোগ।গত ৩১ই জুলাই অভিযুক্তদের হরিরামপুর থানার মুসকিপুরে বাসিন্দা কবির মদন দাসের বাড়ির সামনে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় তিন জেলা প্রতারিত বাসিন্দারা। এলাকাবাসী এক্রামুল বারিক অভিযোগ করে বলেন,” টাকা ফেরত চাইতেই অভিযুক্ত কবির সুমন দাস তাকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে হুমকি দিতে থাকে সে।সেদিন এলাকার প্রচুর মানুষজন অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে জড় হলে পালিয়ে যায় কবির মদন দাস ও তার স্ত্রী রিংকু সরকার মদন দাস। কিন্তু গ্রামবাসীরা তার ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল।
পুলিশি সুত্রে খবর,গত ১অগস্ট রায়গঞ্জ থানার ছুটকিয়া গ্রামের বাসিন্দা কবিতা দাস অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান,”বিটকয়েনের নাম করে ১৫লক্ষ টাকা অনলাইনে দিয়েছিলাম অভিযুক্তদের।প্রথমে মোটা অঙ্কের সুদের টাকা কয়েক মাস দিলেও পরে টাকা চাইতেই অভিযুক্তরা সিবিআই অফিসার বলে তাদের ভয় দেখাতে থাকে।অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
” গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন,”বিটকয়েনের নামে প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী স্ত্রীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।