জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনির তরফে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধ হল নন্দনপুরে
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৬ আগস্ট দক্ষিণ দিনাজপুর। বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ,শুধু মালা বদলের পালা।সেই সময় গিয়ে হাজির প্রশাসনের আধিকারিকেরা।বন্ধ হল বিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করা এক নাবালিকা ছাত্রীর।দক্ষিণ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।ঘটনাস্থলে হাজির হলেন গঙ্গারামপুর থানার অফিসার এসআই আলফোজ কাবো নামে পুলিশ অফিসার,সঙ্গে গঙ্গারামপুর ব্লকের সিডিপিও শাহীন খন্দকার,এলাকার অধিকার মিত্র তথা পি এল ভি সঞ্জয় সরকার,আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের পি এল ভি গোলাম রব্বানী। অবশেষে মুচলেকা দিয়ে জেলে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল পাত্র-পক্ষ ও তার পরিবার। গঙ্গারামপুর থানা সূত্রের খবর,জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাদের কাছে খবর আসে যে, নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী যার বয়স ১৪বছরের সঙ্গে এলাকারই এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছে।সেই খবর পেতেই তারা সেখানে ছুটে যায় নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই এলাকায়। গিয়ে তারা দেখতে পান,মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আসর তৈরি হয়েছে, রান্নাবাড়ি সমস্তটাই তৈরি হয়ে গেছে।এবার পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ হলেই বিয়েটা সম্পূর্ণ হবে।ততক্ষণে আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ ও গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা তাদের বয়সের প্রমাণপত্র দেখতে চান।যদিও তারা তা দেখাতে পারেননি বলে প্রশাসনের আধিকারিকের জানান।এরপরে সেই বিয়ে বন্ধ করে দেয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের লোকজন ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। নাবালিকা মেয়ে ও তার বাবা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে জানালেন,”বয়স হলেই এবার বিয়ে করবেন তার আগে নয়।” পত্র ও তার বাবা মুচলেখা দিয়ে জানান,”মেয়ের বয়স হলেই বিয়ে হবে তার আগে নয়।” গঙ্গারামপুর ব্লকের সিডিপিও শাহীন খন্দকার বলেন,”খবর পেলেই এমন বিয়ে বন্ধ করা হবে।” আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের পিএলভি গোলাম রব্বানী বলেন,”নাবালিকা বিয়ের খবর পেয়েই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ওয়েব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মুচলেকা দিয়েছে তারা আগামীতে ১৮বছর বয়স হলেই বিয়ে দেবেন।”