আদালত চত্বরেই আত্মহত্যা!

0
410

আদালত চত্বরেই আত্মহত্যা! সাত মামলার আসামির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে হুলুস্থুল কান্ড বালুরঘাটের আইনপাড়ায়

বালুরঘাট, ১৪ আগষ্ট — আইন আর ন্যায়ের আঁতুড়ঘর, আদালত চত্বর। অথচ সেখানেই ঘটল এমন এক শিউরে ওঠার ঘটনা, যা চোখ কপালে তুলেছে বিচারপ্রার্থী থেকে পুলিশ—সবারই। বৃহস্পতিবার দুপুরের ব্যস্ত সময়, আদালতের বিভিন্ন কক্ষে চলছিল শুনানি। ঠিক সেই সময়েই এক নির্জন কোণে উদ্ধার হল হোসেনপুরের বাসিন্দা বাপি সরকারের (৪৫) ঝুলন্ত দেহ। মুহূর্তে থমকে গেল আদালত প্রাঙ্গণ।

চোখে পড়তেই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু। খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে হাজির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্ত্তিক চন্দ্র মণ্ডল ও ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ। দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপি সরকারের বিরুদ্ধে ডাকাতি থেকে মাদক পাচার—মোট সাতটি মামলা রয়েছে। এদিন আদালতে তাঁর কোনও নির্দিষ্ট শুনানির তারিখ ছিল না। তবুও তিনি আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সারাদিন চুপচাপ ছিলেন বাপি। আইনজীবী কৃষ্ণ দাস বলেন, “খেতে বললেও খায়নি। মুখে যেন এক অদ্ভুত অবসাদ ছিল তার।” এরপরই সকলের চোখ এড়িয়ে চলে যান আদালতের একটি নির্জন কোণে, আর সেখানেই ঘটে যায় মর্মান্তিক পরিণতি।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মামলার বোঝা ও মানসিক চাপই তাঁকে এই চরম পদক্ষেপে ঠেলে দেয়। তবে প্রশ্ন উঠছে—জেলা আদালতের মতো উচ্চ নিরাপত্তা এলাকায় নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে সম্ভব হল এমন আত্মঘাতী ঘটনা?

আদালতে আসা এক ব্যক্তি লোকেশ ঘোষের কথায়, “হঠাৎ দেহটা দেখে শিউরে উঠেছিলাম। মুহূর্তে হইচই শুরু হয়।”
ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তদন্ত চলছে।”

বিচারের মন্দিরের ভিতরে এদিন এমন মৃত্যুর ছায়া ঢেকে দিয়েছে গোটা আদালত চত্বরকে। আতঙ্ক, প্রশ্ন আর গুজবে এখন সরগরম আইনপাড়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here