খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তর এর পক্ষ থেকে ৫০ জন কৃষকদের নিয়ে এক দিবসীয় কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হলো বংশীহারী টাঙ্গন সভাকক্ষে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তরের পক্ষ থেকে ৫০ জন কৃষকদের নিয়ে এক দিবসীয় কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির দেওয়া হলো বংশীহারী টাঙ্গন সভাকক্ষে।রসায়নিক স্যার ছাড়াই জৈব স্যার, নিম খৈল ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে চাষিরা সবজি চাষ করলে চাষিদের খরচে ভালো সব্জির ফলন হবে ও লাভবান হবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বংশীহারী ব্লকের ৪ টি অঞ্চল থেকে ৫০ জন চাষিদের নিয়ে বংশীহারী ব্লকের টাঙ্গন সভাকক্ষে একটি দিবসীয় কৃষিক প্রশিক্ষণ শিবির দেওয়া হয়। এই ট্রেনিংয়ে বলা হয় কি ভাবে অসময়ে সবজি চাষ করা সম্ভব। এছাড়াও রাসায়নিক স্যার ব্যবহার না করে জৈব স্যার ব্যবহার করে কি ভাবে ভালো সবজি চাষ করা যাবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় ট্রেনিংয়ে। দেখা যায় সবজি চাষে সবজিতে পোকা লেগে যাওয়ার কারণে সবজির ভালো ফলন হয় না, সেই কারণে নিম খৈল পোকা মারা আঠালো ফাদ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় এই ট্রেনিং থেকে। কোন পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে সবজিতে পোকা লাগবে না এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া ট্রেনিং প্রশিক্ষণে উপস্থিত থাকা চাষিদের দেওয়া হয় উদ্যান পালন বিষয়ক ২টি বই সহ সবজি চাষ করার সামগ্রী। এই প্রশিক্ষণ প্রদ্মতিতে সবজি চাষ করলে চাষিরা অসময়ে সবজি চাষ করে বেশি লাভবান হতে পারবে বলে দাবি করেছেন উদ্যান পালন বিভাগের আধিকারিকরা। এদিনের এই ট্রেনিং প্রশিক্ষণে উপস্থিত দক্ষিণ দিনাজপুর ড্রিস্ট্রিক সেক্রেটারি রাজীব দাস, বংশীহারী ব্লকের বিডিও সুব্রত বল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গণেশ প্রসাদ সহ ৫০ জন মহিলা কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
এই বিষয়ে বংশীহারী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গণেশ জানিয়েছেন ব্লকের ৪ টি অঞ্চল থেকে ৫০ জন কৃষকদের নিয়ে বংশীহারী ব্লকের টাঙ্গন সভাকক্ষে উদ্যান পালন বিষয়ক ট্রেনিং দেওয়া হলো। এই ট্রেনিং এ রাসায়নিক স্যার ব্যবহার না করে জৈব স্যার ব্যবহার করে চাষিরা ভালো সবজি চাষ করতে পারবে ও লাভবান হবে বলে আশা করছি। এর আগেও এরকম সবজি চাষের জন্য ট্রেনিং দেওয়ানো হয়েছিল, আজকেও চাষিদের কথা মাথায় রেখে টাঙ্গন সভা কক্ষে চাষিদের ট্রেনিং দেওয়া হলো।