বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, পরে অস্বীকার—অভিযুক্ত বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার, আত্মঘাতী যুবতী
শীতল চক্রবর্তী, বালুরঘাট, ৮ আগস্ট:বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আত্মঘাতী হলেন এক যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার অন্তর্গত বুনিয়াদপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের করখা হাটখোলা এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম মল্লিকা মন্ডল (১৯)।পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের অজান্তে সে বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতার মা দীপালি মন্ডলের অভিযোগ,হরিরামপুর থানার উখলি গ্রামের বাসিন্দা ভুলেশ দেবশর্মা সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মল্লিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল।এই সম্পর্কের আড়ালে মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে ভুলেশ বলে অভিযোগ।তার সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন,যারা এই সম্পর্কের সূত্রধর বলে দাবি দীপালিদেবীর।
অভিযোগ,পরবর্তীতে ভুলেশ মল্লিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।অপমানে, মানসিক যন্ত্রণায় ভেঙে পড়ে মল্লিকা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় গত মঙ্গলবার দুপুরে। আত্মহত্যা করার আগে ভুলেশের সঙ্গে তার মোবাইলে কথোপকথন হয় বলেও দাবি করেন মৃতার মা।
ঘটনার পর দীপালি মন্ডল বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ভুলেশ দেবশর্মা ও তার বাবা মিলন দেবশর্মাকে হরিরামপুর থানার উখলি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হচ্ছে।”
স্থানীয় মহলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সমাজে নারীদের নিরাপত্তা এবং প্রতিশ্রুতির অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই মর্মান্তিক পরিণতি।