চোর-মাদকাসক্তের জোটে কাঁপছে কুমারগঞ্জ, ৪ দিনে ৬ চুরি! পুলিশের আশ্বাসেও কমেনি আতঙ্ক
বালুরঘাট, ২০ জুলাই —– সীমান্ত লাগোয়া কুমারগঞ্জে চুরি যেন এখন নিত্যদিনের ঘটনা! টানা চারদিনে একের পর এক ছয়টি চুরি। পোস্ট অফিস, ব্যাঙ্ক, মোটরবাইক শোরুম, দোকান, এমনকি চা বিক্রেতার বাড়িও রেহাই পেল না। পুলিশি পাহারার ঢিলেমিতেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে চোরের দল—অভিযোগ এলাকাবাসীর।
শনিবার দুটি মোটরবাইক শোরুমে চুরির পরে, রবিবার ফের সাফানগরে চা বিক্রেতা বাণী বসাকের বাড়ি ও একটি দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। জানালা-আলমারি ভেঙে দশ হাজার নগদ ও তিন ভরি সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা। দোকান থেকেও উধাও প্রায় দেড় হাজার টাকা। সর্বস্ব খোয়ানো বাণী বসাকের অভিযোগ, ‘‘সামান্য চা বিক্রির রোজগারও লুঠে নিল চোরেরা।’’
দোকান মালিক সুবীর বসাকের অভিযোগ, এলাকায় বেড়েছে মাদক কারবার ও মাদকাসক্তদের সংখ্যা। তুলনামূলক ভাবে কমেছে পুলিশি নজরদারি। যার সুযোগ নিয়েই গোটা এলাকায় তৈরি হয়েছে এমন অরাজকতা পরিস্থিতি। পোস্ট অফিস থেকে ব্যাঙ্ক, মোটরবাইক শোরুম থেকে দোকান বা ঘরবাড়ি কিছুই রেহাই পাচ্ছে না চোরেদের হাত থেকে। পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেছে কুমারগঞ্জে। যা নিয়েই আতঙ্কে রয়েছেন সকলে।
একইসঙ্গে এই চুরি বাড়ার পেছনে মাদকাসক্তদের সক্রিয়তাকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, ব্রাউন সুগার, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ, গাঁজা—সবই মেলে সহজলভ্য ভাবে। ফলে মাদকের টাকার জোগান দিতেই এরা নামছে চুরিতে।
কুমারগঞ্জ থানার আইসি রামপ্রসাদ চাকলাদার অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস চুরির টিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুষ্কৃতীরাও ধরা পড়বে বিশেষ অভিযানে।’’
তবে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের বক্তব্য, ‘মাদক-মাফিয়াদের উপর লাগাম না টানলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন।’ তাই পুলিশের আশ্বাস’ পকেটে পুরে এখনও আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন কুমারগঞ্জবাসী।