রামপুরে টোটো রাখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ,বাড়িঘর ভাঙচুর,গ্রেপ্তার ১১,এলাকায় মোতায়েন বিরাট পুলিশ বাহিনী শীতল চক্রবর্তী, বালুরঘাট, ২০ জুলাই:দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের রামপুরে টোটো রাখাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এলাকা।ঘটনায় একাধিক বাড়িঘর ও টোটো ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।শনিবার রাতভর অভিযানে পুলিশ দুই পক্ষের ১১জনকে গ্রেপ্তার করেছে।এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি, মোতায়েন র্যাফ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুর বানদিঘির কৃষ্ণ তিরকি এবং মিনাপাড়ার রফিকুল সরকারের মধ্যে টোটো রাখাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে বচসা থেকে উত্তেজনা ছড়ায়।রফিকুলের বাবা সিরাজুল সরকারকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণের বিরুদ্ধে।এরপর রাতের অন্ধকারে কৃষ্ণ দলবল নিয়ে সিরাজুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
সিরাজুলের পরিবার দাবি করেছে,হামলাকারীরা ৭০/৮০ জনের দলে এসেছিল,ঘরের আসবাবপত্র ও একটি টোটো ভাঙচুর করেছে এবং মহিলাদের মারধর করেছে। সিরাজুলের আত্মীয় লুৎফর সরকার অভিযোগ করে বলেন,”টোটো রাখাকে কেন্দ্র করে একটি ঝামেলা হয়েছিল।সেসময় কৃষ্ণ তিরকিকে স্থানীয়রা একটি চড় মেরেছিল।এতে কমল টিগ্গার মদতে কৃষ্ণ তিরকি দলবল নিয়ে এসে আমার কাকার বাড়িতে হামলা চালায়।গোটা বাড়ি সহ ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে।বাড়ির মহিলাদের মারধর করে। প্রানভয়ে মহিলারা রাতের অন্ধকারে অন্যত্র গিয়ে প্রান বাঁচায়।তিনি বলেন যারা এমন ঘটনা ঘটাল আমরা তাদের দৃষ্টান্ত মূলক সাজা চাই।”
সিরাজুল সরকারের ছেলে সোহেল রানা সরকার অভিযোগ করে বলেন,”শনিবার সন্ধ্যায় রামপুর বাজারে টোটো রাখা নিয়ে কৃষ্ণ তিরকির সঙ্গে আমার দাদার ঝামেলা হচ্ছিল।সে সময় আমার বাবা গিয়ে কৃষ্ণকে বলে পরিচিতদের মধ্য ঝামেলা করা ঠিক।তখন আমার বাবাকে কৃষ্ণ সজোড়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় আমার দাদা কৃষ্ণকে চড় মেরেছিল।এতে রাতের অন্ধকারে কৃষ্ণ প্রায় ৭০/৮০ জনের দল নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়। আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।টোটো সহ ঘরের যাবতীয় আসবাব পত্র ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে ন্যায্য বিচার চাই।” গৃহবধূ আফুরিজা খাতুন অভিযোগ করে বলেন,”শনিবার রাতে ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম।এমন সময় বেশ কিছু মানুষজন আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছি। তপন ব্লক আইএনটিটিইউসি সভাপতি কমল টিগ্গা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি তখন কলকাতায় ছিলাম, আমাকে রাজনৈতিক চক্রান্তে ফাঁসানো হচ্ছে।” তপন থানার আইসি জনমারি ভিয়ান্নে লেপচা জানিয়েছেন, “ঘটনায় দুই পক্ষের ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,তদন্ত চলছে।”
ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ানোয় এলাকায় র্যাফ সহ পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।