শহরবাসী জন্য বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু

0
51

বামেদের সময়ে হয়নি, তৃণমূল চেয়ারম্যানের সময়ে ৭৪কোটি টাকা বরাদ্দ করে শহরবাসী জন্য বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হল গঙ্গারামপুরে ,”৮মাসের মধ্যেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পাবেন শহরবাসী জানালেন “চেয়ারম্যান”খুশি সকলেই
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট বামেদের সময়েও হয়নি, তৃণমূলের চেয়ারম্যানের সময়ে সুড়ার বিভাগের ৭৪কোটি টাকা বরাদ্দ করে শহরবাসী জন্য বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজের সূচনা হলো। সোমবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে স্টেডিয়ামে জলের রিজার্ভার তৈরির কাজের সূচনায় ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পুরসভার চেয়ারম্যান। সেখানে চেয়ারম্যান ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান, প্রকল্পের সুড়ার বিভিন্ন আধিকারিক, পুরসভার কাউন্সিলর সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
বিগত বামেদের সময়ও পুরসভার ভোট আসার আগে তৎকালীন রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে প্রস্তাব পাঠিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চালু করবেন বলে বামেদের মন্ত্রী নারায়ন বিশ্বাস ও পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান বলরাম ঘোষ শহরবাসীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন।শহর এলাকার বাসিন্দারাও এমন আশ্বাস পাবার পরে খুশি হয়েছেন।কিন্তু বামেদের সময়ে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ শাসক দলের চেয়ারম্যানের।
গঙ্গারামপুর পৌরসভা সূত্রের খবর,১৯৯৩ সালে গঙ্গারামপুর পুরসভাটি গড়ে ওঠে।পুরসভার জন্মলগ্ন থেকেই তা ছিল বামেদের দখলে।বামেদের তৎকালীন চেয়ারম্যান বলরাম ঘোষ বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্পের জন্য রাজ্যে কাগজ পাঠিয়েছে বলে সেই সময় জানা গিয়েছিল।তার পরে বামেদের আরেক চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র বসাকের সময়েও এই প্রকল্পের জন্য কাগজ পাঠানো হয়েছিল সেখানে,কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ শহরবাসীর।সুবল বসাকের সময়েও দাবি করা হয়েছিল তাঁর সময়ে ২বার ২৩কোটি টাকার এই প্রকল্পের প্রস্তাব রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে পাঠানো হলেও রাজ্যে সরকারের পরিবর্তনের কারণে সেই প্রকল্পের অনুমোদন মেলেনি পুরসভা বামেদের দখলে থাকার জন্য বলে বামেদের চেয়ারম্যান দাবি করেছিল। গঙ্গারামপুর পুরসভার সূত্রের খবর,২০১৫ সালে পুরসভা ভোটের আগে শাসকদল বিরোধী শুন্য পুরোবোর্ড গঠন করে। চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসেন প্রশান্ত মিত্র ।তখনি তিনি বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্পে পৌঁছে দেবার জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে, যা এই প্রকল্পের প্রস্তাবে রাখা হয়েছে ৫টি নতুন রিজারর্ভারের মাধ্যমে পানীয় জলের ধারা কীভাবে পুরসভা এলাকার প্রতিটি বাসিন্দাদের বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁচ্ছানো হবে।অবশেষে তিনি শহরবাসী সেই আশ্বাস পূরণ করলেন। গঙ্গারামপুর পৌরসভা সূত্র জানা গেছে,পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুডা দপ্তরের তরফে ৭৪কোটি টাকা বরাদ্দ করে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হল।
গঙ্গারামপুর পৌরসভার সূত্রের খবর,১, ২, ৩, নম্বর ওয়ার্ডের জন্য ১নম্বর বেলবাড়িতে একটি নতুন করে রিজারভার তৈরী হয়ে হবে।এর পাশাপাশি গঙ্গারামপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে একটি রিজার্ভারে মাধ্যমে ৩,৪,৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জল পাবেন।গঙ্গারামপুরের ৮ নম্বর ওয়াড়ের বড়বাজারে একটি রিজার্ভারের জল থেকে , ৬, ৭, ৮, ও নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বাড়ি বাড়ি জল পাবে।সেখান থেকে পূর্ণভবা নদীর জল তুলে তা রিজার্ভারে রেখে ওই কয়েকটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি জল পৌঁচ্ছে দেওয়া হবে। ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জন্য ৯নম্বর ওয়ার্ডে একটি জলের রিজার্ভার বসানো হবে।এখন অবশ্য ওই রিজার্ভারের জল দিয়ে ট্যাপের মাধ্যেমে ওই ৪টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জল পাবেন।এর পাশাপাশি গঙ্গারামপুরের ৮নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজারের তৈরী রিজার্ভারের জল থেকে ৫, ৬, ৭,৮.নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বাড়ি বাড়ি জল পেয়ে থাকেন। সেখানেও জল পূর্ণভবা নদী থেকে তোলা হবে।বর্তমানে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ওই সমস্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জল পাচ্ছেন।পুরসভার প্রস্তাবে ৩ নম্বর রিজার্ভারটি পুরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিবসু রোড় এলাকায় হবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।সেখান থেকে ১১, ১২, ১২, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।৫নম্বর রিজার্ভারটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেডিয়ামের আশপাশে বসানো হবে।সেখানে সেটি বসলে পুরসভার ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জল পাবে।এই ৫টি রিজার্ভারের পাইপ লাইনের মাধ্যমেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল শহরের এলাকার ৭০হাজার বাসিন্দাদের ১৪ হাজার পরিবারে পৌঁছালে হবে বলে জানা গেছে।
এদিন গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বড় বাজারে দুটি অনুষ্ঠান করে পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র,ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস,গঙ্গারামপুর কলেজে প্রিন্সিপাল ,সুড়ার বিভিন্ন আধিকারিক,পৌরসভার বড়বাবু শ্যামল সাহা, সমাজসেবী কৌশিক সাহা, কাউন্সিলর অতনু রায়,পাপড়ি কর্মকার, বিশ্বজিৎ মুর্মু সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিতে দুটি রিজার্ভারের শিলান্যাস করেন। গঙ্গারামপুর পৌরসভা চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র জানিয়েছেন,”আমরা কথা দিলে কথা রাখি।আগামী আট মাসের মধ্যেই শহর এলাকার বাসিন্দারা বাড়ি বাড়ি জল পাবেন।কাজ শুরু হল। প্রকল্প চালু হলেই শহরবাসী উপকৃত হবেন।” পুরসভা এলাকাবাসী প্রশান্ত আধিকারি,ও আরেক বাসিন্দা যুবক জানিয়েছেন,” চেয়ারম্যানের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here