কাউন চাল চাষে সাফল্য, গঙ্গারামপুরের কৃষকদের মুখে হাসি,কৃষি দপ্তরের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন সকলেই
শীতল চক্রবর্তী,বালুরঘাট, ২২জুন।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের কৃষকরা এবার শ্যামা চালের বিকল্প হিসেবে কাউন চাল চাষ করে বেশ ভালোই লাভ করছেন।আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা ও খামখেয়ালিপনার সাথে মানিয়ে নিতে কৃষকদের নতুন চাষাবাদের দিকে উৎসাহিত করছে ব্লক কৃষি দপ্তর।
গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি এলাকার কৃষক দিলীপ সরকার জেলার মধ্যে সম্ভবত প্রথম কাউন চাল চাষ শুরু করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।কৃষি দপ্তর জানিয়েছে,কাউন চাল চাষে খরচ কম,উৎপাদনও ভালো,ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর অনুযায়ী এই ব্লকে ১.২৫লক্ষ কৃষক পরিবার রয়েছে।প্রায় ২৭হাজার হেক্টর জমিতে কৃষি কাজ হয়।আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে কোচবিহারের একটি ফার্মার্স ক্লাব থেকে কাউন চালের বীজ আনা হয়েছে।
এক বিঘা (৩৩ শতক)জমিতে চাষ করতে প্রায় ৪হাজার টাকা খরচ হয় এবং উৎপাদিত কাউন চাল বিক্রি ৯হাজার টাকা।অর্থাৎ এক বিঘায় কৃষকের ৫হাজার টাকার বেশি লাভ হয়।এই চালে রয়েছে বিভিন্ন গুণ,যেমন পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ এই কাউন চালে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট কম, সুগন্ধ বেশি,পটাশিয়াম লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে।এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়।খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।চাল থেকে আটা,পায়েস,খিচুড়ি এমনকি পিঠা-ক্ষীরও তৈরি করা যায়। কৃষি দপ্তরের গঙ্গারামপুর ব্লকের আধিকারিক সুদীপ্ত সরকার জানিয়েছেন,“কাউন চাল চাষ শ্যামা চালের বিকল্প হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।এতে কৃষকরা ভালো আয় পাবেন এবং আগামী দিনে এই চাষ আরও প্রসারিত হবে।”
গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি এলাকার কৃষক দিলীপ সরকার জানিয়েছেন,“কাউন চাল চাষ করে ভালোই লাভ হচ্ছে।কৃষি দপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই এমন উদ্যোগের জন্য।”খেলার মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম কাউন চাল চাষে গঙ্গারামপুর ব্লক আগামী দিনে জেলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন।
Home বাংলা উত্তর বাংলা কাউন চাল চাষে সাফল্য, গঙ্গারামপুরের কৃষকদের মুখে হাসি,কৃষি দপ্তরের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন...