নামসংকীর্তন থেকে ফেরার পথে হাতির হানায় মৃত্যু দুই তরুণের

0
191

জলপাইগুড়ি:-

নামসংকীর্তন থেকে ফেরার পথে হাতির হানায় মৃত্যু দুই তরুণের। মৃতদেহ আটকে রেখে ক্ষোভ। বিক্ষোভ বনদফতরের বিরুদ্ধে । জলপাইগুড়ির গজলডোবা সংলগ্ন দুধিয়ার বালুর চর এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে এলাকায় একটি নামসংকীর্তনের আসর বসেছিলো । সেই সময় হাতির দল হানা দেয়। তখন বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলো। বনকর্মীদের সাহায্য নিয়ে গ্রামবাসীরা হাতির দলটিকে তাড়িয়ে গ্রামের বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু দুটি হাতি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে ছিলো এলাকাতেই। রাত তিনটে নাগাদ নামসংকীর্তনের আসর থেকে তুষার দাস ও নারায়ন দাস নামে দুই তরুণ বাড়ি ফিরছিলো। তারা বনকর্মীদের কাছে বনদফতরের গাড়িতে বাড়ি পৌছে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু হাতি সব চলে গেছে জানিয়ে বনকর্মীরা তাদের বাড়ি পৌছে দিতে রাজি হায়নি। বনকর্মীরা সেখান থেকে চলে যায়। তখন দুইজন হেটেই বাড়ির রাস্তা ধরে। সেই সময় অন্ধকারে এক বুনো দাতালের সামনে পড়ে যায় তারা। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তাদের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। বনদফতরে খবর দেওয়া হয়। অভিযোগ, খবর দেওয়া হলেও বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেনি। তার বদলে মিলন পল্লী ফাঁড়ির পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধারের চেস্টা করে। কিন্তু গ্রাম বাসীরা তাতে বাধা দেয়। বনদফতর না এলে দেহ তুলতে দেওয়া হবে না বলে জানায় গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের এডিএফও আসেন। এরপর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয় । এডিএফও রাজীব লামা জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবে দুই মৃত তরুণের পরিবার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই গজলডোবা সংলগ্ন টাকিমারী, মিলনপল্লী, দুধিয়ার চর সহ সংলগ্ন এলাকায় হাতির উৎপাত চলছে। ১০০টি হাতির দল ছোটো ছোট দলে ভাগ হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। গত ১৪ই মে ভরদুপুরে হাতির আক্রমণে রাজেশ ওরাও নামে এক
পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেদিনও বনদফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে তেতে উঠেছিলো এলাকা। স্থানীয়রা দাবি জানিয়েছেন, হাতির দল যাতে গ্রামে ঢুকতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিক বনদফতর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here