এক দশকের দাবি পুরণ! বালুরঘাটের একে গোপালন কলোনীতে গড়ে উঠছে দোতলা আধুনিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র
বালুরঘাট, ১৫ মে —— একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র—শুধু ইট, বালি, সিমেন্টে গাঁথা ভবন নয়, একটা গোটা এলাকার স্বপ্ন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সেই স্বপ্নেরই বাস্তব রূপ নিতে চলেছে বালুরঘাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। বৃহস্পতিবার, শহরের একে গোপালন কলোনির মধ্যপাড়ায় রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় এবং বালুরঘাট পুরসভার উদ্যোগে শিলান্যাস হল একটি আধুনিক ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’-র।
প্রায় ৪২ লক্ষ টাকার প্রকল্প। এর মধ্যে ৩৭ লক্ষ দিয়েছে মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট (এমইডি), বাকি ৬ লক্ষ বরাদ্দ পুরসভার। একসময় জলে ডুবে থাকা নিচু জায়গাটি মাটি ও রাবিশ ফেলে সমতল করে সেখানেই গড়ে তোলা হচ্ছে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। এদিন নির্মাণ সামগ্রী হাতে নিয়ে সে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের শিলান্যাস করেন পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, সিএমওএইচ ডা. সুদীপ দাস, এমসিআইসি মহেশ পারেখ এবং স্থানীয় কাউন্সিলর বিপুল কান্তি ঘোষ।
শহরের এই অঞ্চল এতদিন ছিল স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিধির বাইরে। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়েও বাসিন্দাদের ছুটতে হত দূরের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। অবশেষে সেই দাবি বাস্তবায়িত হচ্ছে পুরসভার সক্রিয়তায়।
কাউন্সিলর বিপুল কান্তি ঘোষ বললেন, “এলাকার মানুষ অন্তত এক দশক ধরে এই কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আজ তা বাস্তব।”
চেয়ারম্যান আশোকবাবুর প্রতিশ্রুতি, “মাস চারেকের মধ্যে খুলে যাবে কেন্দ্র। রোজকার ওপিডি, প্রয়োজনীয় ওষুধ, রক্ত পরীক্ষা—সব থাকবে। স্বস্তি মিলবে সাধারণের।”
সিএমওএইচ সুদীপ দাসের কথায়, “এই কেন্দ্র থাইরয়েড, থ্যালাসেমিয়া, লিভার ও হৃদরোগ সংক্রান্ত উন্নত টেস্টের সুযোগ এনে দেবে।
একে গোপালন কলোনী এলাকায় স্বাস্থ্যের নতুন ভবন গড়ে উঠছে ঠিকই, কিন্তু তার ইট ও সিমেন্টের সংমিশ্রণের ভিতরে লুকিয়ে থাকছে একটা গোটা এলাকার মানুষের স্বপ্ন আর দীর্ঘশ্বাসের ইতিহাস। এবার সেই স্বপ্নই পাচ্ছে স্বার্থকতা।