নয়াবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, একরাতে ভস্মীভূত চার দোকান
বালুরঘাট, ২ এপ্রিল —– একরাতে সব শেষ! মুহূর্তের মধ্যে বিধ্বংসী আগুনের তান্ডবে পুড়ে ছাই হয়ে গেল নয়াবাজারের চারটি দোকান। স্টেশনারি, মুদি, ফলের গুদাম—সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি। আতঙ্কের বাতাসে ভর করে ছুটোছুটি ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের। যদিও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে আশপাশের দোকানপাট।
বুধবার ভোররাতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার নয়াবাজার হাটখোলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারের একপ্রান্তে মাধব সরকার নামে এক ব্যবসায়ীর স্টেশনারি দোকান ছিল। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান তিনি। কিন্তু গভীর রাতে আচমকাই দোকান থেকে দাউদাউ করে আগুন উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছু বোঝার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের মুদি দোকান, ফলের গুদাম ও আরও এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
স্থানীয়রা প্রথমে নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, তবে আগুনের তীব্রতা ক্রমেই বাড়তে থাকায় দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে চারটি দোকানই ভস্মীভূত হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখায় দোকানের আসবাবপত্র, কাগজপত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সবই পুড়ে ছাই।
দোকান মালিকদের দাবি, এই অগ্নিকাণ্ডে লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা স্পষ্ট না হলেও প্রাথমিক তদন্তে শর্ট-সার্কিট থেকেই এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে অনুমান করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তপন থানার পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। সম্পূর্ণ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কী ধরনের সাহায্য করা হবে, সে নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি ঘোষণা হয়নি। তবে আগুনের ধাক্কায় কার্যত পথে বসার উপক্রম ব্যবসায়ীদের। বুধবার সকালেও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পোড়া কাঠ, ছাই আর স্তব্ধতা ছাড়া সেখানে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই!
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত সরকার ও তাপস মন্ডলরা বলেন, এই অগ্নিকান্ডের জেরে বড়সড় ক্ষতির মুখেই পড়ল ব্যবসায়ীরা। দমকলের তৎপরতায় সেটা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। প্রশাসন ব্যবসায়ীদের পাশে দাড়াক সেটাই চান তারা।