৫০০বছরেরও বেশি সময় ধরে শিববাড়ি এলাকায় বারুনি পুণ্যস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হল, পৌরসভা ও থানা প্রশাসনের তরফে চলবে মেলা কয়েকদিন ধরে,
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ২৭শে মার্চ।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঐতিহাসিক শিববাড়ি বারুনী পুণ্যস্নান ও মেলা পুরসভা,থানা পুলিশ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হল।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি এই বারুনী পুণ্যস্নান ও মেলাটি প্রায় ৫০০বছরের বেশি পুরনো বলে জানা গিয়েছে।সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রতিবছর এই মেলাতে কেন্দ্র করেই কোনো না কোনো সমস্যা তৈরি হওয়ায় এবার গঙ্গারামপুর পুরসভা ও গঙ্গারামপুর থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে শিববাড়ির সর্বস্তরের মানুষজনকে নিয়ে মেলা পরিচালনা করছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গেছে।মেলার প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র,১৫নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাসকে কমিটির সভাপতি,এলাকার গ্রামবাসী অর্চিত নন্দীকে সম্পাদক ও ১৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ মুর্মুকে কোষাধক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।সেই সঙ্গে পুরসভার তরফে এলাকার বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে নিয়ে মেলা কমিটি তৈরি করা হয়েছে।মেলার প্রধান আকর্ষণ রয়েছে বানরাজার সময়ের বিরুপক্ষ শিবমন্দির ধামের শিবমন্দির।বারুনী পুণ্যস্নান ও মেলাকে কেন্দ্র করে শিববাড়িতে কয়েকদিন ধরে চলবে মেলাও। গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি এলাকার ঐতিহাসিক শিববাড়ি বারুনী পুণ্যস্নান ও মেলাটি ৫০০বছরের বেশি পুরনো বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।যে মেলাটি বান রাজার সময়ের বিরুপক্ষ শিবমন্দির ধামকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে।গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়িতে পুনর্ভবা নদীতীরে মধুকৃষ্ণ এয়োদর্শী তিথিতে বারুনিতে পুণ্যস্নান ফলের আশায় প্রতিবছরের মতো এবছরও হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হতে শুরু করেছে সকাল থেকে। জানা গেছে,প্রতিবছরই শিববাড়ি এই বারুনি পুণ্যস্নান মেলাকে কেন্দ্র করে কোনো না কোনো সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। যদিও এবছর গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ও থানা পুলিশ প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নিয়ে সকলকে নিয়ে পুণ্যস্নান ও মেলা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হয় তার জন্য চেয়ারম্যান কমিটি তৈরি করে দেন। গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস বলেন,”চেয়ারম্যান ও থানা প্রশাসনের মাধ্যমে গঠিত কমিটি মেলা পরিচালনা করবে শিববাড়ি এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে। নদীতে জল কম থাকায় পৌরসভা থেকে নদীখুরে প্রচুর জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরসভার তরফে।পুরসভা ও থানা প্রশাসনের একটাই লক্ষ্য, শান্তিপূর্ণভাবে বারুনী পুণ্যস্নান ও মেলা যেন পরিচালনা করা হবে।” বঙ্গরত্নপ্রাপ্ত সাহিত্যিক সুকুমার সরকার,ও সাহিত্যিক অজিত ঘোষেরা বলেন,”বারুনী নামটি বানরাজার নাম থেকেই এসেছে বলে জানতে পেরেছেন তারা।বহু বছরের পুরনো এই বারুনী পুণ্যস্নান ও মেলাটি।সারা রাজ্যের বহু দূর দূরান্তের ভক্তরা এই দিনটিতে সেখানে ছুটে আসেন পূর্ণ লাভের আশায়।” দুই পূর্ণ্যার্থী বলেন,”বারুনি পুণ্যস্নান ও মেলাতে আমরা ছুটে আসি।পুনর্ভবা নদীতে স্নান সেরে বানরাজার সময়ের শিবকে পুজো দিয়ে নদীর পাড়ে রান্নাবান্না করে খাবার খেয়ে থাকি আমরা।” গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র জানিয়েছেন,”শান্তিপূর্ণভাবে মেলা পরিচালনা করার জন্য পুরসভা প্রশাসন তরফে কমিটি করা হয়েছে।শান্তিপূর্ণভাবে বারুনী পুণ্যস্নান ও মেলা পরিচালনা করাই লক্ষ্য পুলিশ প্রশাসনের।পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।” এবছর যে বারুনী পুণ্যস্নান ও মেলায় লাখ পুন্নার্থী ভিড় হতে শুরু করায় সেবিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।