দুই পক্ষের বিবাদের জেরে গুরুতর আহত এক মাছ ব্যবসায়ী

0
114

দুই পক্ষের বিবাদের জেনে গুরুতর আহত এক মাছ ব্যবসায়ী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বংশীহারী থানার অন্তর্গত আলিপুর এলাকায়। আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহাড়ী থানার ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলিপুর স্ট্যান্ডে সকাল দুই জন মাছ ব্যবসায়ী মাছি বিক্রি করে আসছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও বদলপুরের মুঙ্গরাইল এলাকার বাসিন্দা অনন্ত সরকার (৩৪) ও খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা বিপদ হালদার (৩২) দুই জনই আলিপুর বাজারে মাছ বিক্রি করছিলেন। সূত্রে জানা যায় এই দুজনের মধ্যে প্রায় এক মাস ধরে মাছ বিক্রি করা নিয়ে ঝামেলা লেগেই ছিল। আলিপুর বাজারে প্রায় দিন অনন্ত সরকারের মাছ বেশি বিক্রি হচ্ছিল বলে অপর মাছ ব্যবসায়ী বিপদ হালদার ক্ষিপ্ত হয়ে ছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ বিপদ হালদার রেগে গিয়ে অপর মাছ ব্যবসায়ী অনন্ত সরকারকে সজোরে লাত্থি মারে। সেই সময় অনন্ত সরকার শুয়ে ছিল, লাত্থি খাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে বিপদ হালদারকে বলে আমাকে মারলে কেনো ? উত্তরে বিপদ হালদার বলে এখানে আর কোনদিন তুই দোকান করবি না। তর্ক বিতর্ক হতে শুরু করলে বিপদ হালদার তার মাছ কাটা বঠির পিড়ি দিয়ে অনন্ত সরকারের মাথায় বাড়ি মারে। ঘটনায় অনন্ত সরকারের মাথা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহত মাছ ব্যবসায়ী অনন্ত সরকারকে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রশিদপুর গ্রামীন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করে উন্নত মানের চিকিৎসা করবার জন্য পাঠানো হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আহত মাছ ব্যবসায়ী অনন্ত সরকার বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিপদ হালদারের শাস্তির দাবি জানিয়ে। বিপদ হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করবার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি উপযুক্ত ব্যক্তি। এছাড়াও ঘটনার পরে অভিযুক্ত বিপদ হালদার বাড়ি থেকে পলাতক রয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারী থানার পুলিশ।

এই বিষয়ে আহত মাছ ব্যবসায়ী অনন্ত সরকার জানিয়েছেন প্রতিদিনের মতো আমরা দুইজনে মাছ বিক্রি করছিলাম। আমার মাছ একটু বেশি বিক্রি হতো বলে বিপদ হালদার ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি করে আসছে প্রায় এক মাস ধরে। আজকে আচমকা প্রথমে লাথি মেরে ও তারপরে তার মাছ কাটা বঠির পিড়ি দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি মারে ও আমি আহত হয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি বংশীহারী থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি বিপদ হালদারের শাস্তির দাবি জানিয়ে।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক দোকানদার যুগল দেবশর্মা জানিয়েছেন চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এসে দেখি অনন্ত সরকার এর মাথায় চোট লেগে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মাছ কাটা বঠির পীড়ি দিয়ে বিপদ হালদার অনন্ত সরকারকে মাথায় বাড়ি মেরেছে। আমরা অনন্ত সরকারকে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসি। মাছ বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here