উত্তাল বাংলাদেশ! আতঙ্কে দেশ ছাড়ার হিড়িক ভারতীয় পড়ুয়াদের। হুলুস্থুল কান্ড দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২১ জুলাই —— উত্তাল বাংলাদেশ, আতঙ্কে দেশ ছাড়ার হিড়িক ভারতীয় ছাত্রদের। রবিবার সকাল থেকে ভারতীয় দূতাবাসের প্রচেষ্টায় কয়েকশো ভারতীয় পড়ুয়াদের সীমান্ত পার করাতে তৎপর হয় সেদেশের সরকার। আর যাকে ঘিরেই কার্যত হুলুস্থুল পরিস্থিতি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে। এদিকে দীর্ঘ কয়েকদিনের আতঙ্কের পর এদিন সকালে ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছাতে পেরে কিছুটা হাফ ছেড়ে বেচেছেন ওপার বাংলায় চিকিৎসক হতে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের সামনে আতঙ্কিত ছাত্র ছাত্রীরা জানালেন ইন্টারনেট বিহীন বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর ছাত্র আন্দোলনের কথাও। বিএসএফ সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন সকাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় দূতাবাসের প্রচেষ্টায় ৭টি বাস বোঝাই করে ৩২২ জন ভারতীয় ও নেপালী ছাত্র ছাত্রীদের হিলি সীমান্তে পৌঁছাবার ব্যবস্থা করা হয়। যারা মূলত ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া। বিএসএফের কড়া নজরদারির মধ্যদিয়েই এদিন যে ছাত্র ছাত্রীদের ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করানো হয়। আর যার পরেই আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রীরা কিছু স্বস্তিবোধ করে জানান, মেরা দেশ কি ধরতি সোনা উগলে, উগলে হিরে মতি। এদিকে বাংলাদেশের এই অস্থিরতা পরিস্থিতির জেরে জরুরী অবস্থা জারী করে সেনা মোতায়ন করেছে সে দেশের সরকার। আর যার কারণে শুধুমাত্র কাঁচামাল ছাড়া দুদিন সমস্ত আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রাখবার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার জেরে কিছুটা আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ থেকে আসা ভারতীয় ছাত্রদের তরফে এতাইশা, সৈয়দ তামশি ও শার্নিয়লরা বলেন, সংরক্ষন নিয়ে ঝামেলার জেরে ছাত্র আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে সেখানে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে কার্ফু জারি করে সেনা নামানো হয়েছে বাংলাদেশে। যার কারণে কিছুটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সে দেশে। অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের উচিত এসব সমস্যার সমাধান ঘটিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরানো।