জলপাইগুড়ি:-
নাবালিকাকে গনধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত নির্যাতিতার প্রেমিক ও প্রেমিকের বন্ধুরা। ঘটনায় গ্রেফতার মোট সাতজন। তারমধ্যে চারজন নাবালক। তাদের কোরক হোমে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিন অভিযুক্তকে মঙ্গলবার মালবাজার পক্সো আদালতে পেশ করা হয়। শারিরীক পরীক্ষার পর নির্যাতিতাকেও হোমে পাঠানো হয়েছে। ডুয়ার্সের মেটেলি থানা এলাকার ঘটনা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ছয় বন্ধু মেটেলিতে এক বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে আসে। সেই বন্ধু ও তার প্রেমিককে নিয়ে এলাকার একটি চা বাগানে যায় পিকনিক করতে। সেইসময় জোর করে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিংও করে অভিযুক্তরা । গত রবিবার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের পরিবার, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে ফেলার চেস্টা করে। কিন্তু ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার মেটেলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে সোমবার। অভিযোগ পেয়েই জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের একটি দল মেটেলি এবং আলিপুরদুয়ার সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন নাবালক হওয়ায় আজ তাদের জলপাইগুড়ি কোরক হোমে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনজনকে মালবাজার পক্সো আদালতে পাঠানো হয়।
মালবাজার পক্সো আদালতে পেশের পর তিন অভিযুক্তর মধ্যে দুইজনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী অপূর্ব ঘোষ জানিয়েছেন, দুইজনের পাচদিনেত পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন মাননীয় বিচারক। একজনের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শারীরিক পরীক্ষার পর নির্যাতিতা নাবালিকাকেও হোমে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সমাজকর্মীরা ঘটনার নিন্দায় সরব হওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন।
ভিস বাইট👇
















