বাড়ির জমি জাল দলিল করে ফাঁকি দিয়ে একাই রেকড করার অভিযোগ,বুনিয়াদপুর রেজিস্ট্রি অফিস ও দলিল লেখক সমিতিতে অভিযোগ জমা পড়ল বিভিন্ন জায়গায়,তদন্তে প্রশাসন -শোরগোল জেলা জুড়ে
গঙ্গারামপুর ২২ মে দক্ষিণ দিনাজপুর। জাল দলিল উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর রেজিস্ট্রি অফিসের।পরিবারের বাকি সদস্যরা যেমন লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তেমনি পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতিতেও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বুনিয়াদপুর এডিএসআর দপ্তরে। ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হয়েছে বুনিয়াদপুর সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর থানার অন্তর্গত সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা অভিযোগকারী মতিউর রহমানের বাবা সরিফুদ্দিন মোল্লার সম্পত্তির ১২জন ওয়ারিশ রয়েছে। এর মধ্যে ৮ভাই ও চার বোন সকলেই অংশীদার হিসেবে রয়েছে বলে দাবি তাদের। এই অংশীদারের মধ্যে একজন ভাস্তা এমরুল ইসলাম বসত বাড়ি ১৪.৫ (সাড়ে চোদ্দ শতক) জাল ওয়ারিশ বানিয়ে নিজের নামে করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরো ঘটনা সমস্ত ওয়ারিশ জানতে পাড়ার পরেই লিখিত অভিযোগ করে বুনিয়াদপুর রেজিস্ট্রি অফিসে ও পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতিতে। অভিযোগের ভিত্তিতে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সেমলেন্দু চৌধরী জানিয়েছেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি ও অফিসের আধিকারিক বিষয়টি দেখছেন।আমাদেরই কিছু মোহরি এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি।
এবিষয়ে অভিযোগকারী মতিউর রহমান জানিয়েছেন ,আমার ভাই আব্দুল লতিফের ছেলে এমরুল ইসলাম আমাদের ১২জনের অংশ অবৈধ ভাবে নিজের নামে করে নেয়। সমস্ত কাগজপত্র উঠানোর পর জানতে পারি জাল ওয়ারিশ বানিয়ে আমাদের সবার সম্পতির অংশ সম্পত্তি এমরুল নিজের নামে করে নিয়েছে। আমরা এই ঘটনার শাস্তি চাই। এবিষয়ে বুনিয়াদপুর রেজিস্ট্রি অফিসের এডিএসআর প্রবীর কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন,আমিও জানতে পারি বিষয়টি।পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত এমরুল ইসলাম জানিয়েছেন,বাড়ি ,বসত জায়গাটা যাতে বিক্রি করতে না পারে তার জন্যে আমি ভুল করে নিজের নামে সেটা করে নিয়েছিলাম। এখন ওরা যদি ওদের জমি ফেরত নিতে চায় তাহলে আমি সেই জমি দিয়ে দিতেও রাজি আছি। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বুনিয়াদপুর , সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে।