শিলিগুড়ি:-
ববিতা দত্তের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়,প্রশাসনিক ভবনের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন।অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ শংকর লাহার গ্রেফতারের দাবিতে সরব অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। সোমবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের “ল” মোড়ে গণস্বাক্ষর গ্রহণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবিভিপির কর্মীরা।এবিভিপি রাজ্য সম্পাদক দীপ্ত দে জানান,ববিতা দত্ত আত্মহত্যা করেনি তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।অভিযোগের তীর বিভাগীয় প্রধান এবং রামকৃষ্ণ হস্টেলের সুপার সিদ্ধার্থ শংকর লাহার দিকে ছুঁড়ে জানান,ববিতার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে যেখানে সিদ্ধার্থ শংকর লাহার নাম পরিষ্কার উল্লেখ করেছে।পাশাপাশি ববিতার ভাই মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যেখানে ববিতাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাইয়ে দেওয়া সহ তাকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের লিপ্ত হয়েছে।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করলে ববিতাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।তবে তিনি দাবি করেন ববিতা আত্মহত্যা করেনি তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।তিনি জানান ঘটনার দিন একটা নাগাদ ববিতার ঘর থেকে সিদ্ধার্থ শংকর লাহাকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে।তার এক ঘণ্টা পরই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ববিতার মৃতদেহ।মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ হওয়ার দু’ঘণ্টা পর থেকেই শিলিগুড়ি থেকে পালিয়ে যান সিদ্ধার্থ শংকর লাহা এবং তারপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।অতি দ্রুত ববিতাকে ন্যায় পাওয়ানোর দাবি রাখেন তিনি।অপরদিকে ঘটনা নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার দেবাশীষ দত্ত জানান,অত্যন্ত দুঃখজনক এই ঘটনা,ছাত্রী শিক্ষক অথবা গবেষক অধ্যাপকের সম্পর্ক অত্যন্ত সম্মানীয় এ ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়,ঘটনায় সিদ্ধার্থ শংকর লাহাকে তার সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে,পুরো বিষয় নিয়ে তিনি চিঠি করেছেন এবং মাটিগাড়া থানার যে সমস্ত সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে এই ঘটনা তদন্তে তা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করছে।