শিলিগুড়ি:-
দিদার সঙ্গে প্রেম,আর নাতনিকেই ধর্ষণ করল দিদার প্রেমিক ঐ দাদু।এই ঘটনায় তোলপাড় শিলিগুড়ি।
দিদার প্রেমিক দাদু দীর্ঘদিন ধরেই দিদার সাথেই থাকতো বাড়িতে।আর দিদার কাছে ঘুমাতো নাতনি।আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দিদার প্রেমিক ওই দাদু নাকি নাতনিকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছিল।বিষয়টি দু মাস ধরে চললেও জানাজানি হয় বুধবার।জানা গিয়েছে,শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি থানার ডি এস কলোনির লায়লাদেবীর স্বামীর মৃত্যুর পর স্থানীয় ধরণীকান্ত রায়ের প্রেমে পড়েন।দুজনের বয়সই প্রায় ৬০ বছর।বিগত দু মাস যাবত ওই দাদু আর দিদা অর্থাৎ প্রেমিক-প্রেমিকা একসাথেই থাকতেন ডিএস কলোনির বাড়িতে।পরিবারের সবার সাথেই দিদার প্রেমিক ধরণিকান্ত রায়ের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।অপরদিকে লায়লা দেবীর মেয়ে মায়ের বাড়িতেই থাকেন।তিনি কাজ করেন,সেই কারণে তার দুই সন্তানকে মায়ের কাছেই রেখে দিনের বেলায় কাজে যান।আর বড় মেয়ে সবসময়ই দিদার কাছেই থাকে।এমনকি সে দিদার কাছেই রাতে ঘুমোয়। সব ঠিকঠাক চলছিল।ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার।লায়লা দেবীর মেয়ের একটি স্বর্ণালংকার খোয়া গিয়েছিল।এরপর তিনি যান স্থানীয় এক তান্ত্রিকের বাড়িতে।আর সেই সময়ে লায়লা দেবীর মেয়ের সাথে তার মেয়েও গিয়েছিল তান্ত্রিকের কাছে।সেই সময় তান্ত্রিক লায়লা দেবীর মেয়েকে দেখে বলে আপনার কন্যা অনেক কষ্টে আছে।অনেক কিছু সহ্য করছে সে।এই কথা শোনার পর,লায়লা দেবীর মেয়ে নানান প্রশ্নে জর্জরিত করে তার কন্যাকে।এতেই বেরিয়ে আসে সব ঘটনার তথ্য।কাঁদতে কাঁদতে সে জানায়,বিগত দুই মাস যাবত দিদার প্রেমিক দাদুর লালসার শিকার সে।এরপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে লায়লা দেবীর মেয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযুক্ত ধরণীকান্ত রায় অর্থাৎ সেই দিদার প্রেমিক দাদুর বিরুদ্ধে।মায়ের প্রেমিক যে এত বড় সর্বনাশ ঘটাবে তার মেয়ের,তা ভেবেও উঠতে পারছেন না লায়লা দেবীর মেয়ে।অপরদিকে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্ত ধরণীকান্ত রায়কে গ্রেপ্তার করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।ধৃতকে আজ পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি আদালতে।