ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে মৃত্যু বাংলাদেশী বৃদ্ধার। দেহ সৎকারের প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা, অসহায় পরিবার।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৩ মার্চ ——- কিডনির চিকিৎসা করাতে ভারতে এসে মৃত্যু বাংলাদেশী বৃদ্ধার। দেহ সৎকারের প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা, অসহায় পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বালুরঘাট ব্লকের পাগলীগঞ্জ এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই বাংলাদেশী বৃদ্ধার নাম মনোরমা দেবনাথ (৬৫)। বাড়ি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী স্বামী সুবল চন্দ্র দেবনাথের সাথে কিডনি রোগের চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশের গন্ডি পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ওই বাংলাদেশী দম্পতি। এরপর বালুরঘাটের পাগলীগঞ্জে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা। সেখান থেকেই চিকিৎসার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালোরে। যেখান থেকে ফেরার সময়, তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকেরা। যেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শনিবার রাতে ওই ঘটনার পরেই দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন তার পরিবারের লোকেরা। তাদের দাবি মৃত মনোরমা দেবনাথের দেহ ভারতেই সৎকার করা হোক। কিন্তু বাধা তৈরি হয়েছে দুই দেশের সীমান্ত আইনের বেড়াজালে। আর এতেই কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছেন মৃত ওই বৃদ্ধার পরিবার।
মৃতর স্বামী সুবল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু এখানে এসেই স্ত্রীকে হারালেন। এখন কিছুই বুঝতে পারছেন না কি করবেন। তিনি চাইছেন তার স্ত্রীর দেহ ভারতেই সৎ কার করতে।
মৃতর দাদা অম্বিকা দেবনাথ বলেন, দিদি বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট করে চিকিৎসার জন্য এপারে এসেছিল। কিন্তু এখানে এসেই তার মৃত্যু হয়েছে। তারা চাইছেন তার দেহ এখানেই সৎকার করতে। কিন্তু দু’দেশের আইনের বেড়াজাল থাকায় একাজ আটকে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
পাগলীগঞ্জ এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সুধীর মহন্ত বলেন, তারা চাইছেন ওই মহিলার মৃতদেহ এখানেই সৎকার করতে। কিন্তু দুদেশের সীমান্ত আইনের জেরে তারা তা করতে পারছেন না।