অবসর নিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল আজিজ

 গঙ্গারামপুর,৩১ জানুয়ারি : অবসর নিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল আজিজ। চোখের জলে প্রিয় প্রধান শিক্ষককে এদিন বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পরিচালন সমিতির সভাপতির তরফেও।
২০০৩ সালে রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদেন ড.আব্দুল আজিজ।প্রথম দিকে জুনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয় ছিল। আব্দুল সাহেবের হাত ধরে উচ্চ স্কুলে উন্নতি করন হয়। গড়ে ওঠে তিন তলা ভবন। ফুল ফলের বাগানে সেজে ওঠে স্কুল। ২০০১ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার জলা এলাকায় রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলেন। ২০২১ সালে শিক্ষারত্ন সম্মান পান আজিজ সাহেব। গঙ্গারামপুর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি এলাকাটি এক সময় জঙ্গল ও জলাভূমি ছিল। দিনের বেলায় এলাকায় লোকজনের যাতাযাত ছিল কম। বন্যায় সময় এলাকায় নৌকা চলত। এক মনোঞ্জ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রিয় প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানে সহ শিক্ষক থেকে শুরু করে অশিক্ষক কর্মী ও ছাত্র, ছাত্রীদের চোখে জল আসে। প্রজেক্টারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের কর্ম জীবন তুলে ধরা হয়।রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠে দীর্ঘ ২০বছর প্রধান শিক্ষকতা করার পর এদিন ছিল তাঁর কর্ম জীবনের শেষ দিন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের পরিচালন সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, গঙ্গারামপুর অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এনামূল শেখ,রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রথম শিক্ষক দেবাশীষ দাস,জাহাঙ্গীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজিদুর রহমান,কাদিহাট বেলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থ সরকার,নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রমুখ।
বিদায়ি প্রধান ড.আব্দুল আজিজ যেদিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। সেদিন মনে হয়েছিল কিছু একটা করতে হবে আমাকে।আজকে বিদায় বেলায় সকলের বক্তব্য মেনে হল কিছু একটা করতে পেরেছি।স্কুল যেন আরো এগিয়ে যায় সেই দায়িত্ব দিয়ে গেলেন।
বিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক দেবাশীষ দাস স্মৃতি চারণা করে বলেন,জলপাইগুড়ি থেকে যেদিন স্কুলে যোগ দিতে এসেছিলেন সেদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও স্কুল খুঁজে পাচ্ছিলাম। কোথায় স্কুল কেউ বলতে পাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে এক সেলুন মালিক আমাকে দেখালেন এখানে স্কুল হবে। সেটা দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। কারণ তখন এখানে নৌকা চলত। ২০০৩ সালে প্রধান শিক্ষক আসার পরে তাঁর তৎপরতায় তিনতলা বিল্ডিং স্কুলটি পেয়েছি। বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন,আমাদের স্কুলটি খুব ছোট। কিন্তু জেলার সকলে স্কুলটিকে চেনেন। এটা প্রধান শিক্ষক ড.আব্দুল আজিজের হয়েছে। আজকে ভারাক্রান্ত মনে তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানাতে হচ্ছে। আগামী দিনেও তাঁর সাহাযোগিতা নিয়ে আমরা স্কুলকে এগিয়ে নিয়ে যাব।গঙ্গারামপুর শহরের রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল আজিজ গঙ্গারামপুর,৩১ জানুয়ারি : অবসর নিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল আজিজ। চোখের জলে প্রিয় প্রধান শিক্ষককে এদিন বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পরিচালন সমিতির সভাপতির তরফেও।
২০০৩ সালে রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদেন ড.আব্দুল আজিজ।প্রথম দিকে জুনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয় ছিল। আব্দুল সাহেবের হাত ধরে উচ্চ স্কুলে উন্নতি করন হয়। গড়ে ওঠে তিন তলা ভবন। ফুল ফলের বাগানে সেজে ওঠে স্কুল। ২০০১ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার জলা এলাকায় রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলেন। ২০২১ সালে শিক্ষারত্ন সম্মান পান আজিজ সাহেব। গঙ্গারামপুর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি এলাকাটি এক সময় জঙ্গল ও জলাভূমি ছিল। দিনের বেলায় এলাকায় লোকজনের যাতাযাত ছিল কম। বন্যায় সময় এলাকায় নৌকা চলত। এক মনোঞ্জ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রিয় প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানে সহ শিক্ষক থেকে শুরু করে অশিক্ষক কর্মী ও ছাত্র, ছাত্রীদের চোখে জল আসে। প্রজেক্টারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের কর্ম জীবন তুলে ধরা হয়।রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠে দীর্ঘ ২০বছর প্রধান শিক্ষকতা করার পর এদিন ছিল তাঁর কর্ম জীবনের শেষ দিন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের পরিচালন সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, গঙ্গারামপুর অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এনামূল শেখ,রবীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রথম শিক্ষক দেবাশীষ দাস,জাহাঙ্গীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজিদুর রহমান,কাদিহাট বেলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থ সরকার,নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রমুখ।
বিদায়ি প্রধান ড.আব্দুল আজিজ যেদিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। সেদিন মনে হয়েছিল কিছু একটা করতে হবে আমাকে।আজকে বিদায় বেলায় সকলের বক্তব্য মেনে হল কিছু একটা করতে পেরেছি।স্কুল যেন আরো এগিয়ে যায় সেই দায়িত্ব দিয়ে গেলেন।
বিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক দেবাশীষ দাস স্মৃতি চারণা করে বলেন,জলপাইগুড়ি থেকে যেদিন স্কুলে যোগ দিতে এসেছিলেন সেদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও স্কুল খুঁজে পাচ্ছিলাম। কোথায় স্কুল কেউ বলতে পাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে এক সেলুন মালিক আমাকে দেখালেন এখানে স্কুল হবে। সেটা দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। কারণ তখন এখানে নৌকা চলত। ২০০৩ সালে প্রধান শিক্ষক আসার পরে তাঁর তৎপরতায় তিনতলা বিল্ডিং স্কুলটি পেয়েছি। বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন,আমাদের স্কুলটি খুব ছোট। কিন্তু জেলার সকলে স্কুলটিকে চেনেন। এটা প্রধান শিক্ষক ড.আব্দুল আজিজের হয়েছে। আজকে ভারাক্রান্ত মনে তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানাতে হচ্ছে। আগামী দিনেও তাঁর সাহাযোগিতা নিয়ে আমরা স্কুলকে এগিয়ে নিয়ে যাব।