হিলিতে ১৩ বছর আগে তৈরি রেলব্রীজের পুনরায় শিলান্যাস নিয়ে বিতর্ক!

0
595

হিলিতে ১৩ বছর আগে তৈরি রেলব্রীজের পুনরায় শিলান্যাস নিয়ে বিতর্ক! তৃণমূলের তোপের মুখে সুকান্ত।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২১ জানুয়ারী ———- তেরো বছর আগে হিলিতে তৈরি হওয়া রেলব্রীজের পুনরায় শিলান্যাস নিয়ে বিতর্ক। জোর চর্চা গোটা দক্ষিন দিনাজপুরে। শাসকদলের তোপের মুখে বালুরঘাটের সাংসদ। রবিবার দুপুরে হিলির মেরা আপ্তৈরে রেলব্রীজের একটি শিলান্যাস অনুষ্ঠান কে ঘিরে তৈরি হয়েছে এমনই বিতর্ক। যেখানে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূর্ব রেলের ডি আর এম সুরেন্দ্র কুমার, তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ রেলদপ্তরের একগুচ্ছ কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, হিলি-বালুরঘাট রেললাইন সম্প্রসারনে জমি অধিগ্রহণ সহ বেশকিছু জটিলতা কাটাতে উদ্যোগী হয় রেলদপ্তর। যে কাজের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ২৯৮ কোটি টাকা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করে রেলদপ্তর। যার মধ্যে ৩৩ কোটি টাকা ইতিমধ্যে জমির মালিকদের হাতে তুলে দিতে সক্ষমও হয়েছে জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, এই দীর্ঘ রেলপথ নির্মানের জন্য প্রয়োজন রয়েছে ৫ টি রেলব্রীজের। যার জন্যও বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। সুকান্তর দাবি, এই রাজ্য সরকারের ৩৬ মাসে বছর হয়। তাই সঠিক সময়ে কাজ না হলে ব্রীজ নির্মানের টাকাটি ফেরত চলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দ্রুততার সাথে রেলব্রীজের কাজটি সম্পন্ন করতেই এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজের শিলান্যাস করা হয়েছে। যদিও সুকান্ত মজুমদারের এই শিলান্যাস অনুষ্ঠান কে পুরোপুরি রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে হিলি-বালুরঘাট রেলপথ নির্মানের কাজের শুভ সূচনা হয়েছিল। যে সময়ই এই রেলব্রীজের কাজ প্রায় ৩৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তারা। সেই কাজেরই আবার নতুন করে কেন শিলান্যাস অনুষ্ঠান ? যে প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। তাদের অভিযোগ, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। গোটা দক্ষিন দিনাজপুর জেলাতে পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির, পঞ্চায়েত ভোটের সেই হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে এই কেন্দ্রের সাংসদ। তাই মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে শিলান্যাস করা জিনিসের আবার শিলান্যাস করছেন সুকান্তবাবু। যার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাড়া আর কিছুই নেই বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, জেলার প্রতি সুকান্তবাবুর বঞ্চনা খুব ভালো করেই মনে রেখেছে সাধারণ মানুষ। উনি যে রেলপথ নিয়ে নাচানাচি করছেন, এই জেলাকে সেই রেলপথের সাথে সংযুক্ত করেছে মমতা। শুধু তাই নয়, এজেলার মানুষের আবেগ গৌড় লিঙ্ককে তিনি উদ্যোগী হয়ে বন্ধ করিয়েছেন। যার কারনে মানুষের প্রশংসা নয় ঘৃণা কুড়োচ্ছেন তিনি।

যদিও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে দলমত সকলকেই এগিয়ে আসা উচিত হিলি-বালুরঘাট রেললাইন সম্প্রসারনের কাজে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে রাজনীতি না করে সকলকে সহযোগিতা করবার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here