জলপাইগুড়ি:-
শেষপর্যন্ত দিনের শেষে টেট পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন চিনহ থেকেই গেলো। রবিবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে জলপাইগুড়িতেও টেট পরীক্ষার আয়োজন হয়েছিলো। দাবি অনুযায়ী নিয়মের কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। জলপাইগুড়ি জেলায় টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪০৮জন। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ২২টি। জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা বিদ্যালয় এবং ফনীন্দ্রদেব ইন্সটিটিউটের টেট পরীক্ষাকেন্দ্রে দেখা গেলো,কেন্দ্রে ঢোকার মুখে মোতায়েন পুলিশকর্মীরা পরীক্ষার্থীদের চেকিং করছেন। পাশাপাশি, বায়োমেট্রিক চেকিং করার পরেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি অরবিন্দ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে ঢুকতে না দেওয়ায়। বাস কম থাকায় দেরীতে আসেন কেউ কেউ। অনেক মহিলা পরীক্ষার্থীদের গায়ের গহনা খুলতেও সময় লাগছিলো। ১১টা বেজে যাওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেননি দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায়।
তবে এসবের থেকেও বেশি আশংকা তৈরী হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ পরীক্ষার শুরু আধাঘন্টা পরেই টেটের কিছু প্রশ্নপত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন হাতে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত কড়াকড়ি, কেন্দ্রে মোবাইল নিষিদ্ধ তারপরও কিভাবে প্রশ্নপত্র বাইরে এল?, যদিও এর কোনো সদুত্তর মেলেনি। ঘটনায় হতাশ পরীক্ষার্থীরা।
ভিস বাইট👇