নদীর ধার থেকে বিজেপি ও বামকে ভোট দেওয়া একগুচ্ছ ব্যালট পেপার উদ্ধারকে ঘিরে তুমুল হইচই কুমারগঞ্জে

0
645
নদীর ধার থেকে বিজেপি ও বামকে ভোট দেওয়া একগুচ্ছ ব্যালট পেপার উদ্ধারকে ঘিরে তুমুল হইচই কুমারগঞ্জে। রাজ্যপাল ও নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অভিযোগ সাংসদের।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৩ জুলাই ——– নদীর ধার থেকে বিজেপি ও বামকে ভোট দেওয়া একগুচ্ছ ব্যালট পেপার উদ্ধারকে ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড কুমারগঞ্জে। গণনা কেন্দ্র থেকে সামান্য দুরত্বেই উদ্ধার হয়েছে বৈধ ব্যালট পেপারগুলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকে। বিজেপির অভিযোগ, মানুষের রায়কে ভুলন্ঠিত করেছে তৃণমূল ও প্রশাসন। ইচ্ছাকৃতভাবে যে বিজেপি প্রার্থীদের হারানো হয়েছে এই ঘটনা তাকেই আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে তৃণমূল।
জানা যায় এদিন বিকেলে কুমারগঞ্জ ব্লকের ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে প্রায় কুড়ি মিটার দূরে আত্রাই নদীর ধারে একগুচ্ছ ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। যে ঘটনা সামনে আসতেই তুমুল চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া ওই ব্যালট পেপারগুলি গুলি বটুনের ৯ নম্বর সংসদের। যেখান থেকে জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী। যে সংসদে মোট ভোটার রয়েছে ১৪৯৮ জন। যার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী স্বপন ঘোষ পেয়েছে ৩৪১ এবং
তৃণমূল প্রার্থী ছায়া দাস মন্ডল পেয়েছে ৬৯৭ ভোট। সিপিএমের হয়ে ওই সংসদে গনেশ ঘোষ পেয়েছে ৭২ ভোট। জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীকে। এদিন দুপুরে যে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে আসেন জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা। তাদের দাবি বিজেপিকে হারাতে প্রশাসনিক স্তরে কিভাবে চক্রান্ত হয়েছে তা এর দ্বারাই প্রমাণিত। এত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ডকুমেন্ট কি ভাবে নদীর ধারে চলে আসলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি নেতৃত্বরা। ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের রায় ভুলণ্ঠিত করবার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যপালকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল ভয় পেয়ে প্রশাসনকে দিয়ে সাধারণ মানুষের রায় ভূলন্ঠিত করেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের প্রার্থীদের যে হারানো হয়েছে এই ঘটনা তা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, নদীর ধারে ঘুরতে এসে এই বৈধ ব্যালট পেপার গুলো পড়ে থাকতে দেখেছেন। যার মধ্যে বিজেপিকে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপারই বেশি রয়েছে। এছাড়া দু চারটি অনান্য দলেরও রয়েছে।
 বিজেপির জেলাপরিষদ প্রার্থী সুশীল মার্ডি বলেন, এভাবে ব্যালট পেপার বদলে দিয়ে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও তৃণমূল যৌথভাবে এই চক্রান্ত করেছে।
যদিও বিজেপির তোলা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি। তার দাবি, মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই সুকান্তবাবু ও তার লোকজন এসব ভুল বকছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here