আর্থিক লগ্নি সংস্থায় কাজ করে মহা বিপদে পড়েছে বহু যুবক।

0
1030

শীতল চক্রবর্তী,গঙ্গারামপুর,১৩জুলাই,দক্ষিণ দিনাজপুর:-আর্থিক লগ্নি সংস্থায় কাজ করে মহা বিপদে পড়েছে বহু যুবক। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার পতিরাম,গঙ্গারামপুরের বিডিও অফিসমোড় এলাকায় ভারত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন লিমিটেড প্রয়াসে প্রগতি নামে সংস্থার অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখায়। আগে সংস্থায় কাজ করা যুবকদের অভিযোগ,আমরা আর কাজ করতে চাইছি না,কম্পানি আমাদের এনওসি দিয়ে দেক?এই ঘটনায় বিষয়টি ভারত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন লিমিটেড প্রয়াসে প্রগতি নামে সংস্থার গঙ্গারামপুরের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক পুরো ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।ঘটনায় এদিন রাত আটটায় ব্যপক শোরগোল পড়েছে এলাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে ভারত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্রুশন লিমিটেড প্রয়াসে প্রাতি নামে সংস্থার প্রায় বেশ কয়েকটি অফিস রয়েছে। যা রায়গঞ্জ,মালদা ও এজেলা মিলে প্রায় ৩৫টি অফিস রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে গৌড়বঙ্গের বহু ছেলে সেখানে কাজ করতেন। ওই সমস্ত বেকার ছেলেদের দাবি,সেই সময় ভারত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন লিমিটেড প্রয়াসে প্রগতি নামে সংস্থার যে সমস্ত বেকার যুবকদের নেওয়া হয়েছিল তাদের বলা হয়েছিল এখান থেকে ঋন দেওয়া হবে।তখন বিভিন্ন গ্রাম ও শহর এলাকায় গিয়ে ওই সমস্ত বাসিন্দাদের আধার কার্ড,ভোটার কার্ড নিয়ে এসে ঋন করে দেবে বলে তারা কাজ শুরু করে। সেই মেতাবেক বহু টাকার ঋণ করে দেয় ভারত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্রুশন লিমিটেড প্রয়াসে প্রগতি নামে সংস্থার তরফে, বাসিন্দা ঋন দিয়ে দেওয়া হয়।              

 

   সংস্থায় কাজ করা যুবক জয়দেব সরকার,সুদেব বর্মন,জনক রায়েরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা এই সংস্থায় আর কাজ করতে চাইছি না।রিজাইন দিয়েছি, আমাদের এনওসি দিয়ে দেক কম্পোনি।                                 সুত্রে যানা গিয়েছে, কম্পানির তরফে ওই সমস্ত বিগত দিনে কাজ করা যুবকদের নামে ঋন করে দিয়েছে।এখন কম্পোনি নিজেদের ইচ্ছেমত ওই সমস্ত যুবকদের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋন করে দিয়ে তাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে। ঘটনায় তাঁরা কোন ভাবেই দায়ি নয়,বুধবার রাতে এমনি অভিযোগ তুলে পতিরাম ও গঙ্গারামপুরের বিডিও অফিস মোড় এলাকার অফিসে তালা মেরে কয়েকশো যুবক আন্দোলন করে।তারা এই অর্থনগ্নি সংস্থার হাত থেকে বাঁচতে চাইছে।

 

    ভারত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্রুশন লিমিটেড প্রয়াসে প্রগতি নামে সংস্থার হরিদাস পাল ও শুভঙ্কর প্রমানিক নামে দুই কর্মী ওই যুবকদের সাথে যে কম্পোনি প্রতারনা করেছে তা মেনে নিয়েছেন।তারা জানান,এই সমস্ত যুবকদের কোন দোষ নেই,যেভাবে ওদের কাজ করতে বলেছে ওরা সেভাবেই কাজ করছে। এখন ওদের ফাঁসানো হচ্ছে।

 

প্রশ্ন উঠেছে যখন এই সমস্ত বেসরকারী অর্থলগ্নি সংস্থার চক্করে পরে বহু মানুষজন প্রতারিত হয়েছে তখন এমন একটি সংস্থা এজেলাতে ফুলে ফেপে ওঠার পরে কেন প্রশাসন কড়া হাতে ব্যবস্থা নিল না সেই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকেই।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here