তথ্য গোপন করে নির্বাচনে দাড়াবার অভিযোগ জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে। আশঙ্কা প্রার্থীপদ খারিজ হবার। তুমুল হইচই দক্ষিণ দিনাজপুরে

0
967
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৫ জুলাই——— দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে রাজ্যপাল ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। বুধবার এই ঘটনা সামনে আসতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার।
 জানা যায়, জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের বিরুদ্ধেই উঠেছে তথ্য গোপনের অভিযোগ। যা নিয়েই রাজ্যপাল ও মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ সাতটি ক্রিমিনাল কেস সহ মোট ৩২ টি কেসের আসামি মৃণাল সরকার কি করে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের নাম মনোনয়ন করতে পারেন। ক্রিমিনাল কোন কেসের আসামি হলে নির্বাচন কমিশনের  নিয়ম অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। বিজেপির অভিযোগ যে ক্ষেত্রেই সঠিক তথ্য গোপন করেছেন মৃণাল বাবু। যার বিরুদ্ধেই প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ভোটের ঠিক তিন দিন আগে জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কে কেন্দ্র করে রীতিমতো রাজনৈতিক চাপানোতর শুরু হয়েছে গঙ্গারামপুর সহ গোটা দক্ষিন দিনাজপুর জেলাজুড়ে। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা  প্রার্থী মৃণাল সরকারের দাবি তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিজেপি আনছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। যে মামলা তার বিরুদ্ধে রয়েছে সে সবগুলোই তিনি উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যেগুলি থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। বিজেপি যে অভিযোগ করছে তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য, কারণ রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার ক্ষমতা বিজেপির নেই। সেই কারণেই পুরনো বিভিন্ন কেসকে হাতিয়ার করে তার বদনাম করার চেষ্টা করছেন। এদিকে বিজেপির করা ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত নেমেছে নির্বাচন কমিশন। যাদের প্রাথমিক রিপোর্টে এই ঘটনার সত্যতাও সামনে এসেছে বলে সুত্রের খবর। আর যার জেরে জেলা সভাপতির প্রার্থীপদ খারিজ হবার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে বলেও সূত্রের খবর।
৪ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিযোগ কারী প্রদীপ সরকার বলেন, তৃণমূল প্রার্থী খুনের আসামী। বহু কেস রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  যেগুলি গোপন করে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
 বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরুপ চৌধুরী বলেন, তথ্য গোপন করে প্রার্থী হয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। তার বিরুদ্ধে ৩২ টি মামলা রয়েছে। যা নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here