জলপাইগুড়িঃ-
ফাঁদ পেতে চিতাবাঘ ধরলো প্রৌঢ়! হাড় হিম ঘটনা হার মানালো হিন্দি ফ্লিম কে।
ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের তেলিপাড়ার কালুয়া কলোনির বাসিন্দা বছর ৬০ এর শ্যাম রাও। পেশায় তিনি একজন দিন মজুর।জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে তার বাড়ি থেকে একটি ছাগল তুলে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চিতাবাঘ।
এই ঘটনার পর শ্যাম রাওয়ের মনে ধারনা হয়েছিল ছাগল নেওয়ার লোভে তার বাড়িতে ফের আসবে চিতাবাঘ। এবং সেইজন্য তিনি বাড়িতে থাকা একটি জাল দিয়ে ফাদ বানিয়ে তা ঘরের ভেতরে পেতে রেখেছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে প্রস্তুত ছিলেন কখন চিতাবাঘ আসে।
বুধবার রাতে ডুয়ার্সে মুশলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এরই মাঝে শ্যাম রাওয়ের ছাগল রাখার ঘরে চুপচাপ ঢুকে যায় একটি চিতাবাঘ। চিতাবাঘ দেখতে পেয়ে চিতকার জুড়ে দেয় ছাগল। শ্যাম বাবু বুঝতে পেরে চিতাবাঘটিকে ধাওয়া দিতেই পালাতে গিয়ে ফাদে আটকে পড়ে। এরপর ঘরের দড়জা আটকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের।
চিতাবাঘ এসেছে খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। খবর পেয়ে সাথে সাথে ছুটে যান বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার শুভাশিস রায়।
স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক গুন জানান কয়েকদিন আগে চিতাবাঘ শ্যাম রাও এর একটি ছাগল তুলে নিয়ে যায়। এরপর উনি নিজেই ফাদ বানিয়ে ঘরে পেতে রেখেছিলেন। আজ তাতে চিতাবাঘ আটকাবার পর আমরা বনদপ্তরকে খবর দেই।সময়মত উনারা এসেছেন।
বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার শুভাশিস রায় বলেন আমরা টিম নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাঙ্কুইলাইজ এক্সপার্ট টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এরপর বনকর্মীরা নয়টা নাগাদ ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করে চিতাবাঘটিকে। এরপর চিকিৎসার জন্য চিতাবাঘটিকে নিয়ে যাওয়া হয় গরুমারা প্রকৃতি পর্যবক্ষন কেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হলে ফের চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।