স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও গঙ্গারামপুর শহরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন ঘোষ স্মৃতী স্কুলের পাশে কালীতলা এলাকায় ৭টি পরিবারের ৩৫জন বাসিন্দা রয়েছেন অন্ধকারে,নেই রাস্তাঘাট

0
620

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও গঙ্গারামপুর শহরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন ঘোষ স্মৃতী স্কুলের পাশে কালীতলা এলাকায় ৭টি পরিবারের ৩৫জন বাসিন্দা রয়েছেন অন্ধকারে,নেই রাস্তাঘাট। ক্ষোভ বাসিন্দাদের, অনেকেই শুনে অবাক-খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস পৌরসভার। শোরগোল জেলাজুড়ে

শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর,২১জুলাই, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-স্বাধীনতা পেয়েছেন আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগে। কিন্তু এলাকায় নেই কোন পাকা রাস্তা, ঘরে এখনও আসেননি বিদ্যুৎ এর আলো। ভোট আসে ভোট যায়,নেতাদের গালভরা প্রতিশ্রুতি মেলে৷জায়গাটা অবশ্য আর কোথায়ও নয়,খোদ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন ঘোষ স্মৃতী স্কুলের পাশে কালীতলাতে।এলাকার তপশিলি উপজাতী সম্প্রদায়ভুক্ত বাসিন্দারা প্রশাসন থেকে পৌরসভা সকলের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গঙ্গারামপুর ব্লক বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক অবশ্য কথাটা শুনে একটু চমকে উঠলেন। তিনি জানালেন,এমনটা আবার হয় নাকি?পৌর কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাল,বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম,খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। ঘটনা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে।গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন ঘোষ স্মৃতী স্কুলটি কালীতলার পাশেই রয়েছে এই পাড়াটি। এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে যানা গিয়েছে যে, সেখানে প্রায় ৭টি পরিবারের তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত দিন মজুর খেটে খাওয়া পরিবারের লোকজনদের বসবাস রয়েছে। কোন মতে তারা দিন এনে দিন খেয়ে জীবন গুঞ্জন করে। এই পাড়াটির একপাশেই রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের শেষপ্রান্ত আর পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের শেষপ্রান্ত বলে খবর। পৌরসভার এপ্রান্তে যেমন বিদ্যুৎ রয়েছে, তেমনি পৌরসভার শেষপ্রান্তের একটু আগেই রয়েছে বিদ্যুৎ এর আলো।ওই এলাকায় বিএ, এমএ পাশ ছাত্র ছাত্রীরা সেখানে রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এলাকার বাসিন্দারা যখন এখানে বিদ্যুৎ নেবার জন্য আবেদন করেছেন তখন আশপাশের জমির মালিকের আপত্তির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।যদিও আশপাশের জমির মালিক এবিষয়ে কিছু বলতে চাননি।অভিযোগ, বহুবার জমির মালিক, পৌরসভা থেকে শুরু করে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে বারবার বলা সত্বেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু হচ্ছে হবে বলেই তাঁরা সময় পার করে দিয়েছে।এবিষয়ে এলাকাবাসী রবীচরণ রায়, বীরেন রায়, সুজয় ভৌমিক,ববিতা রায়, আকালি রায়েরা অভিযোগ করে বলেন, শীত, গরম বর্ষা সবেতেই আমাদের লণ্ঠনের আলোতে পড়াশুনা করতে হয়।ভোটের সময় নেতাদের গালভরা প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমরা এলাকায় বিদ্যুৎ চাই, চাই পাকা রাস্তাও।বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক কথাটা শুনে একটু চমকে উঠলেন।তিনি পরে জানালেন,এমনটা আবার হয় নাকি? আমরা দেখছি কিভাবে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া যায়। পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস জানিয়েছেন বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকেই জানতে পারলাম। আলোচনা করে অবশ্যেই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ।     

এখন দেখার এটাই যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কবে নাগাদ আদেও তাঁরা বিদ্যুৎ সংযোগ প্রায় কিনা সেদিকেই তালিয়ে রয়েছে সকলেই।এমন ঘটনা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পরেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here