কৃষক বন্ধু মৃত্যুকালীন প্রকল্পে পরিবারের কারা সেই টাকার দাবিদার সে বিষয়ে তদন্ত করতে এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা,সরকারের তরফে এমন কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক
শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর ,১৫ই জুলাই, দক্ষিণ দিনাজপুর:———–সরকারি কৃষক বন্ধু মৃত্যুকালীন প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা পড়তেই তা তদন্ত করতে এলাকায় যাচ্ছেন ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা। প্রকল্পের টাকা কারা পাবে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক। ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি শহর এলাকার মধ্যে ১৮থেকে৬০ বছরের নিচে যে সমস্ত কৃষকদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের পরিবারবর্গকে সরকার দুই লক্ষ টাকা দেবার ঘোষণা করেছে সরকার।সেই টাকা কারা পাবে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে এলাকায় যাচ্ছেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা। দপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশে এমনটা করা হচ্ছে। আমরাও চাই প্রকল্পের টাকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাদের পাবার কথা তারা পাক।
গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যাদের বয়স ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের কম রয়েছে সেই সমস্ত কৃষকেরা মারা যাওয়ার পরে রাজ্য সরকারের তরফে তার পরিবারবর্গকে দু লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারা ওই কৃষকের পরিবারের সঠিক অংশীদার সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ছুটে যাচ্ছেন গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারি সুদীপ্ত সরকার। তিনি নিজে গঙ্গারামপুর ব্লকের 11 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি শহর এলাকার এমন মৃত্যু কালীন আবেদনপত্রে জমা পড়লে তারা ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। তদন্ত করে দেখে সমস্ত কাগজপত্র হাতে পেতেই প্রকল্পের টাকা দ্রুততার সঙ্গে তুলে দিচ্ছেন কৃষি দপ্তরে আধিকারিকেরা।
গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক সুদীপ্ত সরকার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার চাইছে কাজের স্বচ্ছতা ও সেইসঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকারের সুবিধা যেন মৃত কৃষকের প্রকৃত অংশীদারেরা পান তার ব্যবস্থা করা।আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে সেই কাজ করে প্রকল্পের টাকা হাতে তুলে দিচ্ছি। যা আগামী দিনেও করা হবে।
সরকারের তরফে এমন কাজ করার ফলে অনেক অর্থেই তারা উপকৃত হবেন বলে মনে করেছেন সকলেই।
পাশাপাশি কৃষি দপ্তরের এমন কাজকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন।