অর্থের বিনিময়ে আদিবাসী মহিলার গর্ভপাত করাতে গিয়ে বিপাকে বালুরঘাটের ওষুধ ব্যবসায়ী, পুলিশের সামনেই চলল ধাক্কাধাক্কি
পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১ জুলাই— অর্থের বিনিময়ে আদিবাসী মহিলার গর্ভপাত করাতে গিয়ে বিপাকে বালুরঘাটের এক ওষুধ ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীর ওষুধ খাবার পর থেকেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে এমন অভিযোগে উত্তেজিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের সামনে চলে ধাক্কাধাক্কিও। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। যে ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় পৌছায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। যেখানে উত্তেজিতদের হাত থেকে পাগলিগঞ্জ এলাকার ওই ব্যবসায়ী সঞ্জয় রায় কে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় রায়। বাড়ি বালুরঘাটের সাহেব কাছাড়ি এলাকায় হলেও পাগলিগঞ্জ এলাকায় তিনি একটি ওষুধের দোকান চালান। অভিযোগ, সেখান থেকেই বেশকিছুদিন ধরে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দিয়ে অবৈধভাবে মহিলাদের গোপনে গর্ভপাত করাচ্ছিলেন তিনি। যার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকাও পকেটে পুরছেন তিনি বলেও অভিযোগ। সেরকমই একটি ঘটনা বেশকয়েকদিন আগে রামপুরের এক মহিলার সাথে করেছেন ওই ওষুধ ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ। মহিলার পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত হয়ে যাবে এমনটা বলে তিন হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। যে ওষুধ খাওয়ার পর থেকেই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় গঙ্গারামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। এদিন সেই ঘটনার সদুত্তর চাইতেই শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সামনেই ওই ওষুধ ব্যবসায়ী কে ঘেরাও করে মারমুখী হয় আদিবাসীরা। চলে ধাক্কাধাক্কিও। যার পরেই ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে নিয়ে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ।
এক আদিবাসী মহিলা বলেন, গর্ভপাত করানোর জন্য ওই ওষুধ ব্যবসায়ী তিন হাজার টাকা নিয়েছে তাদের কাছ থেকে। ঘটনার দশ দিন পরেও তাদের মেয়ের রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।
তিন হাজার নয়, দেড় হাজার টাকা নিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন ওই ওষুধ ব্যবসায়ী সঞ্জয় রায়। তবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কিভাবে তিনি এই কারবার চালাচ্ছিলেন তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নি।