ভাগাড় যন্ত্রনায় ভুগছেন বুনিয়াদপুর পৌরবাসী। ভাগাড়ের গন্ধে তিক্ত বিরক্ত হয়ে উঠেছে বুনিয়াদপুর পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
বুনিয়াদপুর পৌরসভা গঠন হওয়ার পাঁচ বছর হয়ে আসলেও এখনো তৈরি হয়নি কোনো ভাগাড়। আর যার ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যায় ভুগছেন বুনিয়াদপুর পৌর এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ বুনিয়াদপুর পৌরসভার তরফের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে যে সমস্ত নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করা হয় সেই সমস্ত নোংরা আবর্জনা গুলি আমাদের বাড়ির চারপাশে নিয়ে এসে ফেলা হয়। আর যার ফলে প্রচন্ড দূর্ভোগে ভুগছি আমরা। ভাগাড়ের গন্ধে আর ধোঁয়ায় আমরা ঠিকমত বাড়িতে থাকতে পারিনা। বহু বার পৌর প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। যদিও বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, আমাদের ভাগাড় তৈরীর কাজ প্রায় শেষের মুখে। আমরা অতি দ্রুত আমাদের ভাগাড় চালু করে দিতে পারব বলে আশা রাখছি। বুনিয়াদপুর পৌরসভার মোট ১৪ টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ১৪ টি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। আর এই সমস্ত আবর্জনা গুলি নিয়ে গিয়ে ফেলা হয় টাঙ্গন নদীর ধারে। যার পাশেই রয়েছে বংশীহারী থানা ও একটি সরকারি অফিস। আশেপাশে বহু মানুষজনের বসবাস।বুনিয়াদপুর পৌরসভা গঠন হওয়ার পাঁচ বছর হয়ে গেলেও এখনো তৈরি হয়নি কোনো ভাগাড়। মূলত সেই জন্যই সেই ভাগাড়ের গন্ধে তিক্ত বিরক্ত শহর এলাকার বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে সুনীল হালদার ও সুমিত্রা হালদার নামে দুই এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আমাদের বাড়ির পাশেই বুনিয়াদপুর শহর এলাকা থেকে এনে বিভিন্ন রকমের নোংরা আবর্জনা ফেলা হয়। আর ফলে তাতে আগুন লেগে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এর ফলে আমরা বাড়িতে সুস্থ ভাবে বসবাস করতে পারিনা। বহুবার আমাদের পৌরসভার চেয়ারম্যান কে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।আমরা চাই আমাদের এখানে আর যাতে নোংরা আবর্জনা ফেলা না হয়।
বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, আমাদের নতুন ভাগাড় তৈরীর কাজ প্রায় শেষের মুখে। সেখানে ঢোকার রাস্তা তৈরি হয়ে গেলেই আমরা আমাদের বুনিয়াদপুর পৌর এলাকার নোংরা আবর্জনা গুলি সেখানে ফেলতে পারব।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র কে বহুবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।