জেলায় জেলায় পুলিশের লাগামহীন তোলাবাজি! লঙ্কা কেনা বন্ধ পাইকারদের

0
420
জেলায় জেলায় পুলিশের লাগামহীন তোলাবাজি! লঙ্কা কেনা বন্ধ পাইকারদের। প্রতিবাদে দক্ষিন দিনাজপুরে রাজ্য ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লঙ্কা চাষীদের





পিন্টু কুন্ডু ও শীতল চক্রবর্তী, দক্ষিণ দিনাজপুর  ৯ জুন ———– জেলায় জেলায় পুলিশের লাগামহীন তোলাবাজির প্রতিবাদে লঙ্কা কেনা বন্ধ পাইকারদের। প্রতিবাদে রাজ্য ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লঙ্কা চাষীদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা  ছড়ায় তপন ব্লকের দ্বীপখন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌমোহনী বাজার এলাকায়। একই অভিযোগে গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়িতে  অবরুদ্ধ হয় বালুরঘাট- মালদা ৫১২ জাতীয় সড়কও।  লঙ্কা চাষিদের অভিযোগ, জেলায় জেলায় পুলিশের লাগামহীন তোলাবাজির জন্য চাষিদের কাছ থেকে কাঁচা লঙ্কা কেনা বন্ধ রেখেছেন পাইকাররা। তাদের অভিযোগ, গাড়ি করে লঙ্কাগুলো বাইরের বাজারে নিয়ে যাবার সময় রাস্তাতে গাড়ি দাড় করিয়ে তোলা দিতে হয় পুলিশকে। জায়গায় জায়গায় পুলিশের এই হপ্তাবাজিতে পরিবহন খরচ প্রায় দ্বিগুন হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রত্যেককেই। যার কারনেই এদিন সকাল থেকে তারা লঙ্কা কেনা বন্ধ রেখেছেন। পাইকারদের আচমকা এমন লঙ্কা কেনা বন্ধে মাথায় হাত পড়ে তপন এলাকার লঙ্কাচাষীদের। আর যারপরেই কৃষকরা একত্রিত হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তপন- দাড়ালহাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এদিন সকাল থেকে কয়েক হাজার কৃষকদের এমন বিক্ষোভ ও পথ অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয় এলাকা। ঘটনার খবর পেয়ে তপন থানার আইসির নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌছাতেই তাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কৃষকেরা। দীর্ঘ প্রায় পাচ ঘন্টা পর ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তপনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়িতে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয়েছে পুলিশকে। যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
এক পাইকার সৈদুল মোল্লা বলেন, ইউনিয়ন থেকে তাদের গাড়ি দিচ্ছে না। পুলিশের হপ্তাবাজিতে তারা অতিষ্ঠ। লাভ তো দুরের কথা কাচ মাল বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। আর যার কারনেই এদিন সকাল থেকে চাষীদের কাছ থেকে তারা লঙ্কা কেনা বন্ধ রেখেছেন।
বিক্ষোভকারী কৃষক মোফাজ্জল সরকার ও মিজানুর মোল্লারা বলেন, পুলিশের তোলাবাজির জেরে পাইকাররা তাদের কাছ থেকে লঙ্কা কিনছেন না। তাহলে তারা কৃষকরা কাচামাল নিয়ে কোথায় যাবেন। এগুলো কি মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের নেতাদের চোখে পড়ে না?  যার প্রতিবাদেই এদিন তারা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন।
যদিও বিষয়টি নিয়ে কোন বক্তব্য দেননি জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here