পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২ ডিসেম্বর— পুরভোটের আগে রদবদল বিজেপির জেলা সভাপতি পদে। বিনয় বর্মন কে সরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপির দায়িত্বে এলেন স্বরূপ চৌধুরী। শনিবার বিকেলে বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বিদায়ী জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন ও তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্বরা সংবর্ধনা দেন নতুন জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীকে। বড়দিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে মিষ্টিমুখ করানো হয় নতুন জেলা সভাপতিকে। যেখানে হাজির ছিলেন বিদায়ী জেলা সভাপতি বিনয় কুমার বর্মন, বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু, বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। রাজ্যজুড়ে বিজেপির জেলা সভাপতি পদের রদবদল ঘটলেও দক্ষিন দিনাজপুরে পুরভোটের আগে এমন রদবদল যথেষ্টই তাতপর্যপুর্ন বলেই মনে করছেন অনেকেই।
জানা যায়, স্বরূপবাবু ২০১৩ সাল থেকে বিজেপি দলের সাথে যুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। যেসময় থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল অবধি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এবং ১৮ সালে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হন। যে পদে থাকাকালীন সময়েই এদিন জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি।পেশায় এলআইসি এজেন্ট স্বরূপ বাবুর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ফুলবাড়ীতে। ছোটবেলায় ফুলবাড়ি স্কুল থেকেই পড়াশুনা করেন তিনি। নয়াবাজার হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পরে বালুরঘাট কলেজে ইতিহাসে স্নাতক এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী।শনিবার দায়িত্বভার নেওয়ার পরেই জেলার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর পৌরসভা ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোন অসুবিধে হবে না, পূর্বসূরিরা কাজ এগিয়ে রেখেছে। এই দুই পুরসভায় ভালো ফলের আশাবাদী তিনি। এদিকে পুরভোটের ঠিক প্রাক মুহুর্তে রাজ্য জুড়ে জেলা সভাপতি পদের রদবদল ঘটলেও দক্ষিন দিনাজপুরে তা যথেষ্টই ফলপ্রসু বলেই মনে করছেন অনেকেই। কেননা বিগত বেশকিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে দলের ভাঙনে বিজেপির সাংগঠনিক ভিত অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে দক্ষিন দিনাজপুরে। যার মধ্যেই পুরভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সিদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছিলেন জেলা নেতৃত্বদের একাংশ। গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট পুরসভা ভোট কিভাবে সামাল দেবেন সেই আশঙ্কাতেও ভুগছিলেন একাংশ নেতৃত্বরা। সভাপতি পরিবর্তনের পর যা অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহল। যদিও বিজেপির সভাপতির এই পরিবর্তনকে কোন আমলই দিতে চায়নি তৃণমূল।