রায়গঞ্জ:-ঘড়িতে রাত ১২ টা বাজতেই ভবঘুরে নিরাশ্রয় দিনদরিদ্র মানুষের কাছে সান্তাক্লজ রূপে হাজির হলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। রায়গঞ্জ শহরের স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম কিংবা রাজপথের ধারে ফুটপাতে থাকা মানুষদের হাতে তুলে দিলেন শীতবস্ত্র কম্বল ও বড়দিনের কেক। মোহিতবাবুর হাত দিয়ে দেওয়ায় খুশি দুস্থ হতদরিদ্র আশ্রয়হীন মানুষেরা।

প্রতি বছর ২৪শ ডিসেম্বর রাত ১২ টা বাজতেই গির্জায় গির্জায় বড়দিনের ঘন্টা বাজার সাথে সাথেই কম্বল আর কেক এর সম্ভার নিয়ে রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেসের বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। সাথে দলের অনুগত সৈনিকেরা। রায়গঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে কিংবা রাজপথ বা শহরের অলিতে গলিতে সহায় সম্বল আশ্রয়হীন দুস্থ মানুষদের প্রবল শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে তাদের হাতে তুলে দেন শীতবস্ত্র কম্বল, কেক ও জলের বোতল। এবারও তার অন্যথা হলোনা। শুক্রবার রায়গঞ্জ স্টেশনে ঘড়িতে রাত বারোটা বাজতেই বড়দিনের উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র কম্বল, কেক ও জলের বোতল নিয়ে ভবঘুরে আর ফুটপাতে থাকা অসহায় মানুষদের হাতে তুলে দিলেন রায়গঞ্জের সান্তাক্লজরূপী মোহিত সেনগুপ্ত। রায়গঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে শহরের নেতাজী সুভাষ রোড, মহাত্মা গান্ধী রোড ও নিশীথ সরনীর ফুটপাতে থাকা দুস্থ মানুষদের গায়ে জড়িয়ে দিলেন কম্বল। দিলেন উষ্ণতার পরশ।

শুধু তাই নয় বড়দিনের কেক তুলে দিলেন তাদের হাতে মোহিত সেনগুপ্তের এই মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রায়গঞ্জবাসী। খুশী রায়গঞ্জ শহরের ফুটপাতে থাকা অসহায় মানুষেরা। রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেসের বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, এই দিনটা যাতে তারা আনন্দে কাঁটাতে পারে তার জন্য ভবঘুরে ও ফুটপাতে থাকা দুস্থ মানুষদের এসব জিনিস দেওয়া হল। পাশাপাশি মোহিতবাবু আরো বলেন, অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভবঘুরেদের জন্য সেন্টাল লেস করা আছে কিন্তু এই রাজ্যে কোন ভবঘুরেদের জন্য সেন্টার লেস নেই। আমরা রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো এসব ভবঘুরেদের জন্য একটু সেন্টাল লেস রুম করা যায় কি না তা নিয়ে ভাবার জন্য বলবো। তাই ২৪ তারিখ রাত ১২ টায় ভবঘুরে ও ফুটপাত অসহায় মানুষদের পাশে থেকে তাদেরকে ২৫ শে ডিসেম্বর তারিখটিতে যাতে ওরা আনন্দে কাঁটাতে পারে তার জন্য তাদের হাতে কম্বল, কেক ও জলের বোতল তুলে দেওয়া হল বলে জানান মোহিতবাবু।