চিতাবাঘের আক্রমনে ভাঙচুর হয়ে গিয়েছিল ঘরবাড়ির আসবাবপত্র সহ সবকিছু। আহতও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু বনবিভাগের ঘটনার চার বছর পরেও একটি টাকায় ক্ষতিপূরণ পেলনা রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার ক্ষতিগ্রস্তরা।

0
236

রায়গঞ্জ:-চিতাবাঘের আক্রমনে ভাঙচুর হয়ে গিয়েছিল ঘরবাড়ির আসবাবপত্র সহ সবকিছু। আহতও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু বনবিভাগের ঘটনার চার বছর পরেও একটি টাকায় ক্ষতিপূরণ পেলনা রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার ক্ষতিগ্রস্তরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জ ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার।  

শীতের সকালের দিনটা ছিল ২ জানুয়ারি ২০১৭ সাল।  সকালবেলা এলাকার ফুল বাগানে ফুল তুলতে গিয়ে বাঘের দেখা পেয়েছিলেন এক মহিলা। ভয়ে আতঙ্কে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। অনেকেই প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরে আরও বেশ কয়েকজন দেখা পায় রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ায়। বাঘ দেখতে এলাকায় ভীড় জমে যায় গোটা রায়গঞ্জ শহরের মানুষের। দুজন চিতাবাঘের কামড়ে আহতও হন। খবর পেয়ে চিতাবাঘ ধরতে ছুটে আসে রায়গঞ্জ বন দপ্তরের কর্মীরা। মানুষজনের চিৎকার চেঁচামেচিতে বাঘ বাবাজি ঘাবড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় বিপ্লব সাহার বাড়ির খাটের নীচে। ভাঙচুর করে দেয় ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র সহ সবকিছু। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েন বিপ্লব বাবুর পরিবার। সকাল ৬ টা থেকে এলাকার বাসিন্দারা ও বন দপ্তরের কর্মীরা বহু চেষ্টা করে জালবন্দী করেন চিতাবাঘটি। চিতাবাঘের আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী কলেজপাড়ার বাসিন্দা বিপ্লব সাহা। সেইসময় রায়গঞ্জ বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিপ্লব বাবুকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। কিন্তু ওই ঘটনার চার বছর পার হয়ে গেলেও আজও কোনওরকম ক্ষতিপূরণ পাননি তিনি। এই ঘটনা নিয়ে রায়গঞ্জের বর্তমান বন আধিকারিক জানিয়েছেন বিষয়টি আমার কোনওকিছু জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here