মালদার দুই পৌরসভায় অবজারভার নিয়োগ নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

0
253

মালদা:-মালদার দুই পৌরসভায় অবজারভার নিয়োগ নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। দলীয় নেতাদের উপর ভরসা নেই সেই কারণেই অবজারভার নিয়োগ করা হয়েছে কটাক্ষ বিজেপির। মানুষ বিজেপির উপর ভরসা রাখেনি তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ক্ষমতায় এসেছেন পালটে কটাক্ষ তৃণমূলের। পুরসভা ভোটের আগে তৃণমূল বিজেপি বাকযুদ্ধে সরগরম মালদার রাজনীতি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন প্রত্যেকটি পৌরসভায় অবজারভার নিয়োগ করা হবে। সেইমতো মালদার দুটি পুরসভায় ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা দুটিতেই অবজারভার নিয়োগ করা হয়েছে। ইংরেজবাজার পৌরসভার অবজারভার করা হয়েছে এসডিও সদর সুরেশচন্দ্র রানোকে। পুরাতন মালদার দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলা শাসক সাধারণ বৈভব চৌধুরী। বিধানসভা নির্বাচনের পরে ইংরেজবাজার পৌরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয় সদর মহকুমা শাসক সুরেশ চন্দ্র রানোকে। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই দায়িত্ব পান ইংরেজবাজার পৌরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর সুমালা আগারওয়ালা। এর পরে অবজারভার নিয়োগ।আর এই অবজারভার নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, দলের নেতা-নেত্রীদের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না সেই কারণেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর উপরে অবজারভার নিয়োগ করা হয়েছে এসডিও কে। যাতে তার উপর খবরদারি করা হয়। নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দলের ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই বিষয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের চেয়ারপারসন সুমালা আগারওয়ালা বলেন, অবজারভার নিয়োগ হয় তাদের হাত শক্ত হয়েছে। কাজের গতি আরও বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি কি বলল তাতে কিছু যায় আসে না। এই বিষয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং মনোনীত চেয়ারম্যান এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মন্বন্তর চেয়ারম্যানের কাজের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। অবজারভার নিয়োগ হয় সেই প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ এদের উপর আস্থা রাখে নি তাই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। এখন আবোল তাবোল বকে কোন লাভ নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here