বুনিয়াদপুরে মৃত স্বামীর দেহ আগলে রাখলেন স্ত্রী ১৮ঘন্টা

0
442

বুনিয়াদপুরে মৃত স্বামীর দেহ আগলে রাখলেন স্ত্রী ১৮ঘন্টা,সৎকারে এগিয়ে এল না কেউ-সংবাদ মাধ্যমে খবর পৌছাতেই ব্যবস্থা নিলেন পৌরসভা ও পুলিশ

শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, ২৫নভেম্বর, দক্ষিণ দিনাজপুর- স্বামীর মৃতদেহ স্ত্রী প্রায় ১৮ ঘণ্টা আগলে রাখলেন।প্রতিবেশীরা এসে দেখলেন, ব্যাস অপর্যন্তই। অবশেষে সংবাদ মাধ্যমে খবর পেয়ে মৃতার স্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন পৌরসভার পাশাপাশি থানা পুলিশ প্রশাসনও।অমানবিক এই ঘটনার চিত্র ফুটে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভার সরাইহাট এলাকায়। এলাকাবাসী অবশ্য ওই মহিলার উপরে দোষ চাপিয়ে দিলেও চেয়ারম্যান কিন্তু গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি সমাজ থেকে মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকই?  বুনিয়াদপুর পৌরসভার সরাইঘাট এলাকায় রাস্তার পাশে হাঁটের জন্য লাগানো দোকানের মধ্যেই পর্বে থেকে মৃত্যু হওয়া ওই যুবকের নাম সুনীল হেমরম (৪৫) তাঁর বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা এলাকায়। পরিবারে স্ত্রী দীপা ও এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে অভাবের সংসার, তাই দীপা হাঁসদা তাঁর প্রতিবন্ধী কিশোর ছেলেকে নিয়ে কাজ করার জন্য বুনিয়াদপুর পৌরসভার সরাইহাটে অস্থায়ী দোকানের পাশে কোন মতে মাথা গোজার ঠাই করেছেন। কোন মতে সুনীল হেমরম বোল্লা এলাকায় থাকলেও সংসারে অভাব থাকায় বুধবার বিকেলে বিদেশে কাজ করতে যাবে বলে সরাইহাটে স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বলে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন।       মৃত সুনীল হাঁসদার স্ত্রী দীপা হাঁসদা জানিয়েছেন, রাতে ও বলল আমি অসুস্থ্য হয়ে পরেছি ভালো লাগছে না।বৃহস্পতিবার  ভোরে তাঁর সেখানেই মৃত্যু হয়েছে।   মৃতের স্ত্রী দীপা হাসদা জানিয়েছেন, লোকজন এসেছিল দেখে আমি বিকেল পর্যন্ত দেহ আগলে এখানেই রেখেছি। আপনার মাধ্যমে পৌরসভাতে গিয়েছিলাম, চেয়ারম্যান বলেছে ব্যবস্থা করে দেবে।    প্রদ্যুৎ সুইমালী নামে এক এলাকাবাসী অবশ্য মৃতের স্ত্রীর জন্যেই দেহ ওই মহিলার উপরে দোষ চাপিয়ে দিয়ে জানিয়েছেন আমরা চেয়েছিলাম কিন্তু উনি দেহ সৎকার করতে দেননি। সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি জানার পরেই ওই মহিলা বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনাটি জার্মান মৃতের স্ত্রী আদিবাসী ঘরের সহয় সম্ভলহীন দীপা হাঁসদা।    পরে চেয়ারম্যান অধিল চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন বিষয়টি জানতে পরেই যেন ওনার দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা যায় তাঁর জন্য সব ধরনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷    তাহলে কি সমাজ থেকে মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকই! শেষ পাওয়া খবরে যানা গিয়েছে মৃত আদিবাসীর যুবকের দেহ সৎকারের উদ্যাগ নিয়েছে। পৌরাতা ও বশীহারী থানা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here