ডাকাতির গল্প ফেদেও শেষ রক্ষা হলো না,স্ত্রীঘরে যেতে হলো

0
84

গঙ্গারামপুরের পাহারায় থাকা নিরাপত্তারক্ষী নিজেরাই আটাও চালকলের গোডাউনে চুরি করে ডাকাতির গল্প ফেদেও শেষ রক্ষা হলো না,স্ত্রীঘরে যেতে হলো তিন নিরাপত্তারক্ষী সহ চারজনকে, আদালতে পাঠিয়ে নেওয়া হলো পুলিশ হেফাজতে শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৮ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর। পুলিশকে বোকাবানানোর জন্য ডাকাতির গল্প ফেদে সংস্থায় পাহারায় থাকা নিরাপত্তারক্ষীরায় একের পর এক জিনিস চুরির ঘটনা ঘটিয়েই চলেছিল।পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামতেই অবশেষে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ চুরির জিনিসপত্র উদ্ধার করা সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে বুধবার রাতে।বৃহস্পতিবার ৩ নিরাপত্তারক্ষী সহ চুরির জিনিসপত্র কেনার অভিযোগে এক যুবক সহ চারজনকে নির্দিষ্ট ধারা দিয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।ঘটনার তদন্তের জন্য ওই চারজনকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে।ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে ধৃত তিন নিরাপত্তারক্ষী সহ চুরির জিনিস কেনা অভিযুক্ত চারজনের নাম রতন সরকার,সেলিম সরকার,অভিষেক সরকার ও চুরি জিনিস কিনা অভিযুক্তের নাম প্রফুল্ল পাল।তাদের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার লক্ষীতলা,জাহাঙ্গীরপুর গঙ্গারামপুর থানার পশ্চিম জয়পুরে ও গঙ্গারামপুর শহরের কালিতলায়। গঙ্গারামপুর থানা সূত্রে খবর, গঙ্গারামপুর থানার রতনমালা কলোনী এলাকায় এক ব্যবসায়ী আটার কারখানা ও চাল রাখার গোডাউন ছিল।সেই গোডাউনেই পাহারার দায়িত্বে ছিল অভিযুক্ত তিনজন বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীরা বলে জানা গিয়েছে।পুলিশী সূত্রের খবর, নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশের কাছে গত বুধবার সকালে গিয়ে দাবি করে যে,ওই আটা ও চালের গোডাউনে তাদেরকে বেধে রেখে মঙ্গলবার গভীর রাতে ডাকার দল বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে।নিরাপত্তা রক্ষীদের কথা শুনে সন্দেহ হয় গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র ও থানার টাউনবাবু এসআই বিশ্বজিৎ বর্মনের ।পরে পুলিশের জেরার সামনে তারা স্বীকার করে নেয় যে,তারাই ওই সমস্ত জিনিস চুরি করে ডাকাতির গল্প বলেছে। চুরির জিনিসগুলো গঙ্গারামপুর শহরের কালিতলার এক লোহার দোকানে মালিকের কাছে বিক্রি করেছে।পুলিশ তদন্তে নেমে ওই অভিযুক্তকেও বুধবার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আটা ও চালকলের গোডাউনের মালিক কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকালে চুরির অভিযোগ দায়ের করে। গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন,”চুরির জিনিসপত্র উদ্ধার করা সহ মোট চারজন উপযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ঘটনা তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ রিমাইন্ড চাওয়া হয়েছে।” এমন ঘটনায় রীতিমতো গঙ্গারামপুর শহরের চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here