১৪তম বিবাহ বার্ষিকীতে অনুষ্ঠানে এক দম্পতি পরিবার বস্ত্রদান,রক্তদান ,অনাথ শিশু ও কিশোরদের খাওয়ানো,পথচারী ভিক্ষুকদেরও খাওয়ানের ব্যবস্থা করেন এক সমাজসেবী দম্পতি পরিবার ,সাধুবাদ জানালেন সকলেই শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১০ এপ্রিল।১৪তম বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মোস্তফাপুরের বাসিন্দা সমাজসেবী মোস্তাকের ১৪তম বিবাহ বার্ষিকীতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করল সমাজসেবী দম্পতি পরিবার।সেখানে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শিক্ষা জগতের মানুষজন,সমাজসেবী সহ এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। মোস্তাক মন্ডল এলাকায় সমাজসেবী বলেই পরিচিত।স্ত্রী মনেনা মন্ডল,তাদের বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মোস্তফাপুরে।সমাজসেবা মুলক কাজ করার নেশা মোস্তাকের ছোট বেলা থেকেই।সেটা যে কারো রক্তের প্রয়োজন হলে হাজির হন তিনি। বা দুঃস্থ মানুষদের মেয়ের বিয়ে দেবার সময় সহযোগিতা করা থেকে শুরু করে কেউ অসুস্থ হলেই তাদের পাশে থেকে সমাজসেবা মুলক কাজ করে যান মোস্তাক নামে ওই যুবক।মোস্তাকের স্ত্রীও তার স্বামীর কাজে সব সময় উৎসাহ দিয়ে থাকেন বলে খবর।মোস্তাক ও তার স্ত্রীর বৃহস্পতিবার ছিল ১৪তম বিবাহ বার্ষিকীর দিন।বাড়িতেই একটি অনুষ্ঠান করে মোস্তাক ও তার স্ত্রী এমন দিনে অনুষ্ঠান করে ৩০জন দুস্থ মানুষজনদের বস্ত্রদান,অনাথ শিশু ও কিশোরদের খাওয়ানো,পথচারী ভিক্ষুকদেরও খাওয়ানের ব্যবস্থা করেন ওই দম্পতি পরিবার।১৪তম বিবাহ বার্ষিকীতে মোস্তাক ও তার স্ত্রী দুজনে মিলে গতবারও গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে এক মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্তদান করে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ান তারা। মোস্তাক জানাল,১৪তম বিবাহ বার্ষিকীকে স্মরণ করে রাখতেই দুস্থ মানুষজনদের মধ্যে বস্ত্রদান,রক্তদান,দুস্থ মানুষজন ও পথচারী ভিক্ষুকদের জন্য পাতপেডে বাড়িতে বসিয়ে ফ্রাই রাইস,মাংস,দই মিষ্টি সহ বিভিন্ন ধরনের খবর খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।সমাজসেবা মুলক কাজ করা আমার নেশায় পরিনত হয়েছে।তাই এমন কাজে এগিয়ে এসেছি।” সমাজসেবী মোস্তাকের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অসিত চৌধুরী জানান,এমন দিনে মোস্তাকের কাজকে সাধুবাদ জানাই।সারা বছর মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যায় সব সময়। সেই কারনেই ওর উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।” এদিন মোস্তাকের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান অসিত বরন কুন্ডু, শিক্ষা অনুরাগী রাজেশ সরকার,সমাজসেবী হামেদুর রহমান,সমাজসেবী মোস্তাকের বাবা-মা সহ এলাকার বহু মানুষজন। মোস্তাক তার স্ত্রীর ১৪তম বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এমন উদ্যোগ নেওয়ায় ওই দম্পতি পরিবারকে সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।