জাল দলিলের রমরমা কারবার বুনিয়াদপুরে,এক দিনেই হচ্ছে রেকর্ডও

0
48

জাল দলিলের রমরমা কারবার বুনিয়াদপুরে,এক দিনেই হচ্ছে রেকর্ডও -“অভিযোগ দায়ের আদালতে”শোরগোল শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ২২ ফেব্রুয়ারি।জাল দলিল করে প্রকৃত মালিককে ঠকিয়ে জায়গা আত্মসাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে বেশ কয়েকজনের নামে আদালতে দায়ের করা হলো মামলা।জমির প্রকৃত মালিক এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর মহকুমা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।আদালতের আইনজীবীও অভিযোগ করেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।অভিযোগ উঠেছে”,ঘটনায় বিএলএল আরও ও রেজিস্ট্রি অফিসের একাংশ কর্মীদের সহযোগিতায় এমন কাজ দিনের মধ্যে ঘটেই চলেছে দিনের পর দিন বুনিয়াদপুরে।আবেদনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জমিন হচ্ছে রেকর্ড বলে অভিযোগ উঠেছে।যদিও অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে। বুনিয়াদপুর পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের শিবপুর এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমানের অভিযোগ,বহুদিন আগে আমার মা কামিজা খাতুনের ওয়ারিশ সেজে অভিযুক্ত আশরাফুল হক মুশা মিঞা, হাচেনা খাতুন, রাহেনা বেগম, রেজাউল হক যাদের সকলের বাড়ি বুনিয়াদপুর পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের শিবপুরে ও আবু বক্কর সিদ্দিক, চঞ্চল কুমার সাহারা মিলে সেই জমি জাল দলিলবের করেছে বলে অভিযোগ তার।গত ৩/৫ /২০২৩ তারিখে ০৩১২৪ ও ০৭১০৭ দলিলে জাল দলিল তারা তৈরি করে।ঘটনায় আবু বক্কর সিদ্দিক ও চঞ্চল কুমার সাহা অভিযুক্তদের সহযোগিতা করে জাল দলিল তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ তার।পুরো ঘটনা জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মতিউরবাবু লিখিত অভিযোগ করে কোন সুফল না পাওয়ায় মহকুমা আদালতে মামলা দায়ের করেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে অভিযোগকারী মতিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন,”সকলে মিলে জাল দলিল তৈরি করে আমাকে ঠকাতে চেয়েছিল।ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা জড়িত আছে।বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গঙ্গারামপুর আদালতের আইনজীবী বাবলু মিঞা অভিযোগ করে বলেন,”জাল দলিল তৈরি করে আমার মক্কেলের জায়গা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা।পুরো বিষয় জানিয়ে মহকুমা আদালতে ৭জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাই”। অভিযোগ উঠেছে বংশীহারী ব্লকের বিএলআরও ও রেজিস্ট্রি অফিস যেন ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। অভিযোগ”ফেলো কড়ি মাখো তেল” এই প্রক্রিয়ায় চলছে দুই দপ্তরের একাংশ কর্মীদের সহযোগিতায় এমন কাজ বলে অভিযোগ” উঠেছে”। দুই দফতরের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ,যেদিন দলিল তৈরি হয় সেদিনই যদি বিএলএলআর ও দপ্তরে জমি রেকড করতে দিলে দিনের মধ্যেই তা রেকর্ড করে দিচ্ছে দপ্তরের কর্মীরা। বংশীহারী ব্লকের রেজিস্টার প্রদীপ মণ্ডল জানিয়েছেন,পুরো বিষয়টি না দেখে কিছু বলতে পারব না।নিয়ম মেনেই সব কিছু করা হয়।আদালতে কেউ মামলা করতেই পারে তাতে তার কিছু যায় আসে না”। বংশীহারী ব্লকের বিএলএলআর ও জানিয়েছেন,”নিয়ম মেনে সব কাজ করা হয়।যে অভিযোগ আমাদের অফিসের নামে করা হচ্ছে তা ঠিক নয় বলে তিনি দায় সারেন”। গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক গঙ্গারাম অভিষেক শুক্লা জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে”। যদিও অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি রাজনৈতিক দলের নেতাদের মদতেই চলছে এই দুই দপ্তরের এমন কাজ।এমন দুর্নীতিতে লাগাম দেবেকে সেই প্রশ্নই তুলেছেন সকলেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here