স্বাধীনতার সাত দশক পর পাকা রাস্তা বালুরঘাটে, উচ্ছ্বাসে বটকৃষ্ণপল্লী
নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট: মাটির রাস্তা, বর্ষায় জল-কাদা, শুকনো দিনে ধুলো—এটাই ছিল বালুরঘাটের বটকৃষ্ণপল্লীর নিত্যদিনের বাস্তবতা। স্বাধীনতার পর থেকে একাধিকবার দরখাস্ত করেও মেলেনি পাকা রাস্তা। শহরের মধ্যেই এমন দুর্ভোগ! অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান। ২৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে শুরু হলো পাকা রাস্তার কাজ। দীর্ঘদিনের আক্ষেপ মিটে যাওয়ায় খুশির জোয়ার এলাকা জুড়ে।
সোমবার রাস্তার নির্মাণকাজের শুভ সূচনা করেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। উপস্থিত ছিলেন এমসিআইসি মহেশ পারখ, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারসহ একাধিক আধিকারিক। শুধু রাস্তা নয়, এলাকাকে আরও উন্নত ও সুন্দর করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা।
চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, “এই এলাকার মানুষ বহু বছর ধরে দুর্ভোগ সহ্য করেছেন। স্বাধীনতার পর প্রথমবার তারা কংক্রিটের রাস্তা পেতে চলেছেন। এটা শুধুমাত্র একটা রাস্তা নয়, উন্নয়নের পথে একটা বড় পদক্ষেপ।”
“বাম জমানায় বারবার দরখাস্ত করেও লাভ হয়নি। আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম,”—আবেগ জড়িত কণ্ঠে বললেন স্থানীয় বাসিন্দা শুভ্রা দাস। “পুরসভার চেয়ারম্যান আমাদের সমস্যাটা গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন। আজ রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় মনে হচ্ছে সত্যিই নতুন দিনের সূচনা হলো।”
পুরসভা সূত্রে খবর, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অর্থানুকূল্যে ২ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার কাজ চলছে। বটকৃষ্ণপল্লী তারই অংশ। বহুদিন ধরে উন্নয়নের স্পর্শ না পাওয়া এলাকাটি এবার সেই স্বপ্ন পূরণের পথে।
উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও প্রশ্ন একটাই—এতদিন ধরে কেন এই বঞ্চনা? শহরের আরও যেসব অঞ্চল এমনই সমস্যায় ভুগছে, তাদের জন্য আশার আলো কি এবার জ্বলবে? আপাতত বটকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দারা হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চাইছেন তাদের নতুন ভবিষ্যৎ।