জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদের জেরে গুরুতর আহত সিপিএম নেতা সহ তিনজন। আহতরা হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে বংশীহারী ব্লকের মাহাবাড়ি অঞ্চলের কুশকারী গোবিন্দপুর গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বিগত ৬ থেকে ৭ বছর ধরে পারিবারিক বিবাদ চলছিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। একাধিকবার সালিশি ভাবে সমস্যা সমাধান করলেও মেনে নেয়নি উভয়পক্ষ। সেই জমি বিভাগকে কেন্দ্র করে মামলা চলছে মহকুমা আদালতে। মৃত কাবিল উদ্দিন আহাম্মেদ এর চার ছেলে সন্তান রয়েছে। যার ছেলে সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে সন্তান সাইফুর রহমান ও হাবিবুর রহমান বেঁচে রয়েছে। এই সাইফুর রহমানের সঙ্গে তার ভাই মৃত ফয়জুর রহমান এর পরিবারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে বহুদিন ধরে। ইতিমধ্যেই বুধবার দুপুর নাগাদ জেঠু সাইফুর রহমান (৬৩) সহ তার স্ত্রী রোকেয়া পারভীন ও তাদের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) বখতেয়ার হোসেন (৪৫) ও ছেলের বউ টুলটুলি পারভীন (৩৫) সকলে একত্রিত হয়ে মৃত ভাই ফয়জুর রহমানের ছেলে জাহান্দার হোসেনকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনদের। বিবাদের জেড়ে গুরুতর আহত মা জয়তুন বেওয়া (৬০) দুই ছেলে জাহান্দার হোসেন (৩৮) ও মেঞ্জারুল আলম (৩০)। আহত ব্যক্তি জাহান্দার হোসেন সিপিএমের বংশীহারী এরিয়া কমিটির সদস্য ও ডি ওয়াই এফ আই বংশীহারী লোকাল কমিটির সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। জাহান্দার বাবু বাজার করে বাড়ি ঢোকার সময় হঠাৎ করে জেঠু সহ তার ছেলে ও ছেলের বউ মিলে আক্রমণ করে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনদের। জাহান্দার বাবুর মাথায় হাসুয়া দিয়ে কপ মারে, জাহান্দার বাবুর মা ও ভাই বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা ছুটাতে গেলে তাদের উপর চড়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তড়িঘড়ি আহতদের নিয়ে আসা হয় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করেন ও জাহান্দার হোসেনকে উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুরো ঘটনা কে কেন্দ্র করে বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। বংশীহারী থানার পুলিশ পুরো ঘটনাকে খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
এ বিষয়ে আহত ব্যক্তি মানজারুল আলম ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহরুখ আলম জানিয়েছেন বহুদিন থেকে জায়গা জমি নিয়ে বিবাদ চলছে। আমাদের জমি অবৈধভাবে ভক দখল করছে। আজকে আচমকা দাদা জাহান্দার হোসেনকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে জেঠু ও জেঠুর ছেলেরা। কোনরকমে প্রাণে বেঁচে যায় দাদা। আমরা আটকাতে গেলে আমাদের ওপরেও মারধর করে। আমরা রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা আমাদের ন্যায্য বিচার চাই।