মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও হুশ ফেরেনি! হিলিতে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই চলছে সরকারী সম্পত্তি জবরদখল।

0
157

মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও হুশ ফেরেনি! হিলিতে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই চলছে সরকারী সম্পত্তি জবরদখল। গণ অভিযোগ জেলা শাসক কে, প্রশাসনিক অসহযোগিতার অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৯ জুন —– মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুশিয়ারিতেও হুশ ফেরেনি সীমান্ত অধ্যুষিত ব্লকে! হিলিতে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকারী সম্পত্তি জবর দখল করার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানিয়ে জেলাশাসককে গণ অভিযোগপত্র দায়ের বাসিন্দাদের একাংশের। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। আর যাকে ঘিরেই রীতিমতো সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার সীমান্ত অধ্যুষিত হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী এলাকায়।

জানা গেছে, হিলির ত্রিমোহিনীর চকদাপট এলাকায় অবস্থিত রয়েছে একটি বহু প্রাচীন তাল দিঘী। যে দিঘী পাড়ের বিস্তৃর্ণ এলাকাটি সরকারি খাস জমি হিসাবেই পরিচিত বলে দাবি অভিযোগকারীদের। প্রায় দশ একর যে সরকারী জায়গায় দখল করার অভিযোগ উঠেছে এলাকার বাসিন্দা দেবদুলাল মন্ডল, রতন সরকার সহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে সরকারী ওই জমি জবর দখল করছে তারা। শুধু তাই নয়, সরকারী ওই জায়গার উপর অবস্থিত বহু পুরনো বেশকিছু গাছও কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের নিশ্চুপ থাকার অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন ওই বাসিন্দারা। আর যা নিয়েই জেলাশাসক কে লিখিত গণ অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন তারা। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের তরফে তোলা সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে অভিযুক্তদের তরফে। তাদের দাবি, তালদিঘীর দুর্নীতি ঢাকতেই এমন মিথ্যে অভিযোগ সামনে আনা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি প্রশাসনিক অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খোদ ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তার দাবি, প্রধানকে অন্ধকারে রেখে এসব চলছে তার এলাকায়। সরকারি খাস জমিতে এলাকার মানুষের উন্নয়ন মূলক কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক।

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মৃত্যুঞ্জয় দাস ও অভিযোগকারী বিদ্যুৎ বিশ্বাসরা বলেন, সরকারী খাস জমি নিজেদের ইচ্ছেমতো জবর দখল করছে স্থানীয় বেশকিছু লোকজন। যে জায়গায় উন্নয়মূলক একাধিক কাজের পরিকল্পনা করা যেতে পারে, সেখানে প্রায় প্রতিদিনই নিত্যনিতুন কিছু গড়ে তুলে জায়গা দখল করার চেষ্টা চলছে। যার পিছনে প্রশাসনের লোকজনের কিছু মদত রয়েছে।

ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বীথিকা ঘোষ বলেন, দিঘির পাড়ে সরকারি খাস জমি যে রয়েছে তা তারা বহু আগে থেকেই জানেন। কিন্তু এব্যাপারে বি এল আরও তাদের কোন সঠিক তথ্য দেন না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও প্রশাসনের কিছু লোকজনের অসহযোগীতার কারনে সরকারী ওই খাস জমি পঞ্চায়েত নিজেদের হেফাজতে নিতে পারছে না।

যদিও অভিযুক্তদের তরফে রতন সরকার বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তালদিঘীর দুর্নীতি নিয়ে তারা সরব হতেই এধরণের মিথ্যে অভিযোগ তুলে আনছেন তারা। পুর্বপুরুষের আমল থেকেই ওই জমি স্থানীয় একটি মন্দির কমিটি পরিচালনা করে আসছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here