জলপাইগুড়ি:-
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভের মুখে রাজ্যের মন্ত্রী। শনিবার রাজ্যের আদিবাসী এবং অনগ্রসরশ্রেনী কল্যান দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক পূর্ব দোলাইগাও এবং সাহেবপাড়া এলাকায় যান। সেখানেই বাধ নির্মান নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
জলপাইগুড়ি জেলার, ক্রান্তি ব্লকের, চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই দুটি গ্রাম গত বুধবার রাত থেকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সিকিমের বিপর্যয়ের জেরে তিস্তানদীর জল ঢুকে দুই গ্রামে প্রায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। দুই গ্রামের প্রায় ৬০টি পরিবার উচু বাধের পাশে আশ্রয় নিয়েছিলো। প্রশাসনের তরফে দেওয়া ত্রিপল দিয়ে তাবু বানিয়ে রয়েছেন তারা। খাবার বলতে ব্লক প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পৌছে দেওয়া ত্রান সামগ্রী। তবে শনিবার দেখা যায় জল অনেকটায় কমে গিয়েছে। নতুন করে জল না ঢুকলে আগামীকাল থেকেই বাড়ি ফিরতে পারবেন দুর্গতরা।
এদিন মন্ত্রী এলাকায় আসার পর তিস্তানদী সংলগ্ন এলাকায় বাধ পরিদর্শনে যান সেচ দফতরের কর্তাদের নিয়ে। তখন কিছু গ্রামভাসী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, সারাবছর বাধ সারাইএর কাজ হয় না, যখন দুর্যোগ আসে তখনই শুধু বাধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এছাড়াও ত্রানশিবিরে আশ্রয় নেওয়া দুর্গতরা তার কাছে আরও কিছু অভিযোগ জানান । যেমন ত্রানশিবির করে দেওয়া হলেও, আলো এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা না থাকায় বিশেষ করে মহিলারা অসুবিধের মধ্যে পড়েছেন। মন্ত্রীর তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এলাকা সংলগ্ন তিস্তানদীর বাধের বেশ কিছু জায়গা দুর্বল বলে অভিযোগ। তা নিয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিন দুর্গতদের হাতে বেশ কিছু ত্রান সামগ্রীও তুলে দেন তিনি।
ভিস বাইট👇