জলপাইগুড়ি:-
সেদিনের সেই নাবালিকা আজ তরুণী। প্রায় নয় বছর পর পেলেন বিচার। ১০বছরের সাজা ঘোষণা হল অভিযুক্তের। জলপাইগুড়ির বিশেষ পক্সো আদালত এদিন সেই সাজা ঘোষণা করে।
২০১৫ সালের মে মাসের ঘটনা। জলপাইগুড়ি পৌরসভা এলাকার এক নাবালিকার পরিবার জানতে পারেন তাদের বারো বছরের মেয়ে অন্ত:স্বত্তা। জানা যায় এই ঘটনার জন্য দায়ী প্রতিবেশী যুবক। সে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের পিতা। তারপরও তার লালসার শিকার হয় বারো বছরের ছাত্রী। অভিযোগ ছিলো, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে দুই পরিবারের মধ্যে যাতায়াত ছিলো। নাবালিকার বাবা-মা এবং অভিযুক্তের স্ত্রী কাজে যাওয়ার পর অভিযুক্ত ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন ভয় দেখিয়ে, জোর করে, নাবালিকার ওপর নির্যাতন চালাতো বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাননাশের হুমকিও দিত। দিনের পর দিন নির্যাতনের জেরে অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে নাবালিকা। ঘটনার জানা পর জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। বন্দী অবস্থাতেই তার বিচার চলে জলপাইগুড়ি বিশেষ পক্সো কোর্টে। দুইজন চিকিৎসক, পুলিশ সহ মোট নয়জন সাক্ষ্য দেয় আদালতে। তার ভিত্তিতে বুধবার রায় দেন বিশেষ পক্সো আদালতের মাননীয় বিচারক ইন্দিবর ত্রিপাঠী। আদালতের সরকারী আইনজীবী দেবাশিষ দত্ত জানিয়েছেন, বিচারক অভিযুক্তকে দশবছর এর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, সরকারের তরফে লিগাল এইড সার্ভিসের মাধ্যমের নির্যাতিতাকে ২লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।
ওই ঘটনার পর প্রাণ বাঁচাতে এবং নাবালিকা হওয়ায় গর্ভপাত করাতে হয় নির্যাতিতার। এসবের জেরে তারপর থেকেই নির্যাতিতা মানিসকভাবে বিপর্যস্ত। এখনো তার চিকিৎসা, কাউন্সেলিং চলছে। বিচার পেতে প্রায় ৯বছর লাগলেও আদালতের রায়ে সন্তুস্ট তার পরিবার।
ভিস বাইট👇