নজিরবিহীন ফলাফল! মাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় জায়গা পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের সাত কৃতি

0
6840

মাধ্যমিকে নজিরবিহীন ফলাফল দক্ষিণ দিনাজপুরে। রাজ্যে সেরা দশের তালিকায় জায়গা পেল সাত কৃতি ছাত্র ছাত্রী

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২ মে ——- মাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় জায়গা পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের সাত কৃতি ছাত্র ছাত্রী। উচ্ছ্বাস জেলাজুড়ে। রাজ্যে নজিরবিহীন ফলাফল, মানছেন অনেকেই। জানা গেছে সাত ওই কৃতি ছাত্র ছাত্রীর তালিকায় রয়েছে বালুরঘাট হাইস্কুলের চার ছাত্র। দুই কৃতি ছাত্রী রয়েছে বালুরঘাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এবং একজন ছাত্রী রয়েছে বাউল পরমেশ্বর হাইস্কুলের।

বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ। যার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১, রাজ্যের চুড়ান্ত তালিকায় উদয়ন এবারে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। ঘড়ি ধরে পড়াশুনা বা সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকা এসবের কোনটাই ছিল না তার। নিজের ইচ্ছেমত সময়ে পড়াশুনা করে ও অবসর সময়ে ক্রিকেট খেলা দেখে এবারে এমন সফলতা এসেছে বলে দাবি করেছে উদয়ন ও তার পরিবারের লোকেরা। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হবার ইচ্ছে নিয়েই উদয়নের পড়াশুনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তার পরিবার।

অন্যদিকে ৬৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র কৃশানু সাহা। টেস্টে ৬৮৫ পেলেও এদিন এমন সফলতায় যথেষ্টই উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ওই স্কুল ছাত্র ও তার পরিবারের লোকেরা। ঘড়িধরে পঠন পাঠন না করলেও একটা নির্দিষ্ট সময়ে বসে পড়াশুনা করতেন তিনি। অবসর সময়ে সিনেমা দেখা ও অরিজিত সিং এর গান তার অতি পছন্দের বলে জানিয়েছেন কৃশানু। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করায় তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করে নজর কেড়েছে বালুরঘাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দুই কৃতি ছাত্রী ও বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কৃতি ছাত্র। শহরের মঙ্গলপুর এলাকার বাসিন্দা আবৃত্তি ঘটক। যার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। চিকিৎসক হবার স্বপ্ন নিয়েই আবৃত্তি তার ভবিষ্যৎ পড়াশুনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
একই নম্বর পেয়ে বালুরঘাট বালিকা বিদ্যালয়ের অপর কৃতি ছাত্রী অর্পিতা ঘোষও সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। যার প্রাপ্ত নম্বরও ৬৮৭। বাবা-মা, শিক্ষক- শিক্ষিকাদের প্রচেষ্টার জেরেই এমন সফলতা বলে দাবি করেছেন ওই কৃতি স্কুল ছাত্রী। তবে চিকিৎসক হওয়ায় তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য বলেও জানিয়েছে সে।
৬৮৭ পেয়ে বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সাত্বত দে ও রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। কোন বাধাধরা নিয়ম মেনে নয়, বাবার দেওয়া গাইডলাইন ফলো করেই তার এমন সফলতা বলে দাবি করেছেন ওই কৃতি ছাত্র। যদিও আর সবার মতো সেও চিকিৎসক হবার লক্ষ্য নিয়েই তার ভবিষ্যৎ পড়াশুনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

একইভাবে ৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছে বাউল পরমেশ্বর হাইস্কুলের ছাত্রী অস্মিতা চক্রবর্তী। স্কুলের শিক্ষক ও পরিবারের লোকেদের সহযোগীতায় তার এমন সফলতা। এদিন যে খবর পেয়ে যথেষ্টই উচ্ছ্বসিত হয়েছে সকলে। পারিবারিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চিকিৎসক হওয়ায় তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ওই স্কুল ছাত্রী অস্মিতা চক্রবর্তী।

৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অর্জন করেছে বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রনক ঘোষও। সুনির্দিষ্ট কোন সময়সূচি নয়, খেয়ালখুশি মতো পড়াশুনা ও তার ফাকে পুজো সহ অনান্য কাজ সেরে পড়াশোনা করেই রনকের এমন সফলতা বলে দাবি তার পরিবারের। আগামীতে চিকিৎসক হবার লক্ষ্য নিয়েই রনক তার পড়াশুনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here