আর্থিক প্রতিবন্ধকতা! ভাঙা ঘরে বসে চিকিৎসক হবার স্বপ্ন মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারীর। উদয়ন প্রসাদের সফলতায় অবাক বালুরঘাট বাসী
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২ মে ——- ভাঙ্গা ঘরে থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী উদয়ন প্রসাদের চোখে। বাধা সেই আর্থিক প্রতিকূলতা। বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ এবারে মাধ্যমিকের ফলাফলে ৬৯১ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। যা রাজ্যে তৃতীয় স্থানাধিকারী বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের প্রাচ্যভারতী এলাকায় ওই স্কুল ছাত্রের এমন অভাবনীয় সফলতায় অবাক হয়েছেন অনেকেই।
জানা গেছে, শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচ্যভারতী এলাকার বাসিন্দা উমেশ প্রসাদ। একটি রাজনৈতিক দলের ফুলটাইমার কর্মী হিসাবে উপার্জিত সামান্য টাকা দিয়েই দিন অতিবাহিত করেন পরিবারটি। মাথাগোঁজার একমাত্র ঘরে যখন তখন খুলে পড়ছে ছাদের চাঙর। বেরিয়ে এসেছে ছাদে ব্যবহৃত লোহার রডগুলিও, যেন মনে হচ্ছে যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে ঘরের সেই আস্ত ছাদটি। যা সাধারণ চোখে দেখলে অনেকেই আতঙ্কিত হবেন। আর সেই ভাঙা ঘরে বসে পড়াশুনা করেই এবারে রাজ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে সকলকেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উমেশ প্রসাদের একমাত্র ছেলে উদয়ন প্রসাদ। বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র উদয়ন এবারে মাধ্যমিকে ৬৯১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। যার এই সফলতায় শুধুমাত্র তার পরিবারই নয়, অবাক হয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরাও। এদিকে ভাঙা ঘরের কোনে বসে আজ উদয়নের চোখে প্রতিমুহূর্তে চিকিৎসক হবার স্বপ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছে, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। নিজের ভবিষ্যৎ পড়াশুনা এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে যা নিয়েই এখন কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই কৃতি ছাত্র। যদিও এনিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে চাননি উদয়নের বাবা।
উদয়ন প্রসাদ বলেন, এদিন সকালে এমন ফলাফলের খবরে যথেষ্টই উচ্ছ্বসিত হয়েছেন তিনি। চিকিৎসক হবার নেশা তার চোখে থাকলেও আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কিছুটা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে তার।
বাবা উমেশ প্রসাদ বলেন, সকলের সহযোগিতা ও আশীর্ব্বাদে তার ছেলের এমন সফলতা এসেছে। চিকিৎসক হবার স্বপ্ন রয়েছে ছেলের। সেইদিকটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় এখন তার জীবনের মূল লক্ষ্য।