“যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চলে যাওয়ায় বিজেপিরা যেভাবে আনন্দ প্রকাশ করছে, আস্ফালন করছে, সেটা খুবই বেদনার এবং দুঃখজনক” বললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন তিনি বালুরঘাটে জানিয়েছেন, আদালতের রিপোর্ট এখনও তিনি হাতে পাননি। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। শিক্ষক, অ-শিক্ষক মিলিয়ে চার-পাঁচ হাজার নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। কিন্তু প্রায় 26 হাজার জনের চাকরি গেল ৷ অর্থাৎ যারা যোগ্য (প্রায় 19 হাজার) তাঁরাও চাকরি হারালেন। অথচ এসএসসিকেই মাননীয় বিচারপতি বলছেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে। তিনি আরও বলেন, “আইনি পরামর্শ নেব এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া যায় কি না। কারণ প্রায় 19 হাজার জনের যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চলে গেল। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেটা চিন্তার বিষয় বলে মনে করি ৷ তাছাড়া এই যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চলে যাওয়ায় বিজেপিরা যেভাবে আনন্দ প্রকাশ করছে, আস্ফালন করছে সেটা খুবই বেদনার এবং দুঃখজনক।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক মামলা হয় হাইকোর্টে। এসএসসির গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শূন্যপদের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় সোমবার 25 হাজার 753 জনের চাকরি বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 350টি মামলার আবেদনে 280 পাতার রায়ে উচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল বাতিল। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল এবং সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে ৷ আর যা নিয়েই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজ্য থেকে জেলায় জেলায় । তবে এই রায় নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবেনা বলেই মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী । তাঁর কথায় এসএসসি’ই চেয়েছিল অযোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কারণে তা সম্ভব হয়নি ।