শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ২২ শে অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুর:-আগুন লেগে দুটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেল।ঘটনায় আহত হয়েছেন পরিবারের এক প্রবীণ সদস্যাও। বাড়ি ঘরের সমস্ত জিনিস পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি একটি গবাদি পশুও গুরুতর আহত হয়েছে।শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তখন থানার হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শোলাকুড়ি এলাকায়। গ্রামবাসীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরাই আগুন নেভাতে শুরু করে।পড়ে গঙ্গারামপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আধঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিপূরণে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও আশ্বাস দিয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর।ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।
তপন থানার হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাকুড়ি এলাকার মানুষজন মূলত কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জীবন সংসার পরিচালনা করে থাকেন। শনিবার সকালে হঠাৎই শোলাকুড়ি গ্রামের মাঝেদুর মিয়ার বাড়িতে আগুন লেগে যায়। সেই বাড়ির সর্বস্ব পুড়ে যাওয়ার পরেই তার পাশে থাকা ইয়াকুব আলীর বাড়িতেও ভয়াবহ আগুন লাগে। যে ঘটনায় ওই দুটি পরিবারের টিনের ঘরবাড়িসহ ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আহত হন যেমন পরিবারের এক প্রবীণ সদস্যাও তেমনি একটি গবাদিপশু আহত হন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে এলাকার মানুষজনেরা দুটি বাড়ির আগুন নিভানোর চেষ্টা করতে থাকে। খবর দেওয়া হয় গঙ্গারামপুরের দমকল বিভাগকে। ততক্ষণে ইয়াকুব আলী ও মাজেদুর মিয়ার বাড়ির সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে আগুনে বাড়িঘর পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইয়াকুব আলী ও মাজেদুর মিয়া বলেন, সব শেষ হয়ে গেল।কিছুই আর থাকলো না পরিবারে।প্রশাসন পাশে না দাঁড়ালে মাথা গোজার ঠাই নেই।বিষয়টি তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিওকে জানানো হয়েছে।
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা মান্নার মিয়া জানিয়েছেন, আমরা পরিবার গুলির জন্য সকলের কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি প্রশাসন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে।
তপন ব্লকের বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষ ও পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি রাজু দাস জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনেছি অবশ্যই ওই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো হবে।
এমন ঘটনায় ওই এলাকায় শোরগোল ছড়িয়েছে।