পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৯ অক্টোবর— ডাইনি অপবাদে চার দিন থেকে ঘরছাড়া আদিবাসী মহিলা। সরকারি টিউবয়েল ব্যবহার করতে না দেওয়ার পাশাপাশি প্রানে মারার হুমকিও প্রতিবেশীদের। অভিযোগ পেতেই টনক নড়ল প্রশাসনের। চার দিন পর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ঘরে ফিরল নির্যাতিতা মরিয়ম সরেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্ত শহর হিলি ব্লকের বৈকুন্ঠপুর আদিবাসী পাড়ার এমন ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল। এদিকে মহিলার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেতেই মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ হিলি ব্লকের আধিকারিক ব্রজেন রায় ও হিলি থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুকুমার শীলের নেতৃত্বে ফেরানো হয়েছে ওই ঘর ছাড়া এই মহিলাকে। পরবর্তীতে যাতে ওই মহিলার প্রতি খারাপ আচরণ এবং ডাইনি অপবাদ দিয়ে গালমন্দ না করা হয় তার ব্যবস্থাও করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।এদিন গ্রামের বাসিন্দাদের সকলকে বুঝিয়ে মিলেমিশে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

অভিযোগ, বেশকিছু দিন ধরে ওই গ্রামে কোন ব্যক্তির অসুখ বা ছাগল মুরগি মারা গেলেই তাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করত স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, ওই মহিলাকে গ্রামছাড়া করার চক্রান্তও করে বেশ কিছু প্রতিবেশীরা। গ্রামের মধ্যে থাকা সরকারি টিউবয়েল পর্যন্ত ব্যবহারেও বিধিনিষেধ জারী করে প্রতিবেশীরা বলেও অভিযোগ। এখানেই শেষ নয় গ্রামের কয়েকজন তাকে খুন করার হুমকি দিতেই প্রাণ বাঁচাতে ওই মহিলা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন মেয়ের বাড়িতে। অবশেষে এদিন হিলি ব্লকের বিডিওর নিকট সুবিচার পাবার আশায় একটি আবেদনপত্রও জমা দেন আক্রান্ত মহিলা। যারপরেই নড়েচড়ে বসে ময়দানে নামে হিলি ব্লক প্রশাসন।
নির্যাতিতা মহিলা মরিয়ম সরেন জানিয়েছেন, ডাইনি অপবাদে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। প্রান বাঁচাতে সে মেয়ের বাড়িতে পালিয়ে যায়। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে সে বাড়ি ফিরেছে।